মোদি নয়, এবার দিদিকে জেতানো বড় লক্ষ্য গুরুংয়ের
দ্য কয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গে সুশান্ত ঘোষকে নিয়ে যখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সমীকরণ কষছেন, ঠিক তখনই সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে ফিরলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। কিন্তু এবার বিমলের মুখে পদ্মের বদলে ঘাসফুলের নাম। প্রকাশ্য সভায় বললেন মমতা বন্দপাধ্যায়কেই জেতাতে চান।
মহাপঞ্চমীর এক বিকেলে নিজের অন্তর্ধান পর্বের অবসান ঘটিয়েছিলেন বিমল গুরুং। বললেন মোদি নয়, দিদির ওপর ভরসা রাখতে চাইছেন তিনি। তারপর থেকে তিনি গোর্খা জনমুক্তির কোন অংশে রয়েছেন? তাঁর সঙ্গে অন্য অংশের সম্পর্ক কীরকম? তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আবার কেউ বলেছেন বিমল গুরুং ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’।
রবিবার একসময়ের পাহাড়ি জনপ্রিয় নেতাকে ঘরে ফেরাতে শিলিগুড়িতে তাঁকে স্বাগত জানান সমর্থকরা। সকাল থেকে ছিল সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। ঝাড়খন্ড দেশম পার্টির রেল অবরোধের কারণে মালদহে আটকে পড়ার পর সড়কপথে রওনা দিলেন শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে। দুপুর তিনটের পরিবর্তে সাড়ে চারটে নাগাদ হাজির হলেন। সাড়ে তিনি বছরের পর নিজের নেতাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগরহ করে রইলেন সমর্থকরা।
আরও পড়ুনঃ হিসাব হবে বরাবর, জোটের আহ্বান সুশান্ত ঘোষের
সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করে বললেন, বিজেপি কথা রাখেনি। ২১ এর নির্বাচনে তার জবাব দেওয়া হবে। দলের প্রতি বার্তা এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশী আসনে জেতানোই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।
বিনয় গুরুং এবং রোশন গিরির ফিরে আসাকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি বিনয় তামাং এবং অনিত থাপারা। পাল্টা জায়গা ছেড়ে দিতে বিনয় যে রাজি নন, সেটা শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানে স্পষ্ট করে দিলেন। বললেন, কি ভাবে জিটিএর খরচ হয় তার হিসেব বুঝে নেবেন। সেইসঙ্গে আগামী নির্বাচনে পাহাড়ে দলের রোডম্যাপ ঠিক করে দিলেন তিনি।
শুধুমাত্র পাহাড়ে ফেরা নয়, বিজেপি এবং অন্য গোষ্ঠীর কাছে শক্তি প্রদর্শন ছিল গুরুং শিবিরের কাছে বেশী চ্যালেঞ্জিং। বিনয় ফেরার আগে থেকেই পাহাড়ের রাজনীতিতে একটা উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার বিকেলে শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানে সমর্থকদের ভিড় কি ভোটের অঙ্কে বদলে যাবে? এই প্রশ্ন উঠতে গোটা রাজ্যজুড়ে। পাহাড়ে বিমলের কামব্যাকে অস্বস্তিতে পড়তে হবে না তো তৃণমূলকে?