রাজনীতি নয়, ফটোশ্যুটে ত্রিপুরা গিয়েছেন সুজাতা; তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরার মাটিতে চলছে ফটোসেশন। অভিযোগ ত্রিপুরার বিজেপির। তাদের বক্তব্য বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে তৃণমূল নেতা নেত্রীরা যেভাবে হাত জোড় করে মোবাইল বন্দি করছে নিজেকে তা নজর কাড়া। সেই ছবি সরাসরি দিচ্ছেন নিজের প্রোফাইলে । যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না ত্রিপুরার শাসক দল।

সুজাতা খাঁ, তিনি বিজেপি থেকে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে বেশ কয়েক মাস আগে। তাকেও দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরার গেরুয়া শিবিরের ভাঙন ধরাতে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ত্রিপুরার মাটিতে রাজনীতির গন্ধ শুঁকতে গেলে সেখানকার ইতিহাস-ভূগোল-রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং মানুষের চাহিদা, সংস্কৃতি এই সবকিছু জানা জরুরী। সুজাতা এসব বিষয়ে অবগত আছেন তো? এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতারাই।

কিছুটা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে সুজাতা খাঁ-কে রাজনীতির পাটিগণিতে মধ্যে রাখতে চাইছেন না ত্রিপুরার বিজেপি। তাদের বক্তব্য সুজাতা আর যাই হোক সুস্মিতা দেব না। প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা তিনি। তাঁর একটা রাজনৈতিক পরিচয় আছে। হতে পারে বিজেপির বিরোধিতা সত্ত্বেও শিলচরে এবং আসামে তাঁর জনপ্রিয়তা আছে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কনভয়ে হামলা, সরগরম ত্রিপুরা

বিজেপির বিরূদ্ধে বহু জায়গায় বলছেন সুস্মিতা। সেটা রাজনৈতিক ভাবে অনেক বেশি পরিণত। বিজেপির পরামর্শ নিজের প্রোফাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকুক সুজাতা। ত্রিপুরার মাটিতে রাজনীতি করতে হবে না । তৃণমূলের অন্দরেই সুজাতাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

বেশকিছু নেতৃত্ব বলছেন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে স্বামীর হয়ে যেভাবে ভোট করিয়েছিলেন সেই সময় আলোচনা শিরোনামে ছিলেন তিনি । ছবি আর পরিস্থিতি এক না। ত্রিপুরার মাটিতে আরামবাগ স্টাইলে কথা বললে লোক উৎফুল্ল হবে না। বরং উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

বর্ষীয়ান নেতারা জায়গা না পেলেও সুজাতার মতো নেত্রী কিভাবে জায়গা পেল ? কী বা তার ক্যারিশ্মা ? তার যোগ্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এসব নিয়ে দলের একটি অংশ বিরক্ত। সুজাতার ত্রিপুরার মন্দিরে ছবি তুলে তাও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়ার পর দলের অন্দরেই চলছে তুমুল আলোচনা।

আবার এই ফটোসেশন কে দেখে বাম ও বিজেপি নেতৃত্বরা বলছেন, ওরা ত্রিপুরায় গেছে ফটোশ্যুট করতে। রাজনীতি করতে নয়। সুজাতার মতো নেত্রী যদি ত্রিপুরার মাটিতে রাজনীতি করতে যায় তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দেবে বলছেন বিজেপি ও বাম। মত রাজনৈতিক মহলের।

সম্পর্কিত পোস্ট