সাড়ে তিন ঘণ্টায় কলকাতা থেকে সাগর, চলতি সপ্তাহেই চালু ক্রুজ পরিষেবা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জলপথে এবার মাত্র কয়েকঘন্টায় কলকাতা থেকে পৌঁছে যাবেন গঙ্গাসাগর অথবা সুন্দরবন। চলতি সপ্তাহেই কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর বিশেষ ক্রুজ পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে বলে রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রে খবর।

সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার- এই প্রবাদ বহুকাল ধরেই বাঙালী সমাজে প্রচলিত। বর্তমানে আধুনিক যানবাহনের কল্যাণে যাত্রাপথে বিপদ কমেছে।কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সাগরে পৌঁছোন এখনও বেশ কষ্টসাধ্য। সেই কষ্ট লাঘব করতে রাজ্যের রাজধানী থেকে জলপথে সাগরকে সরাসরি যুক্ত করার ভাবনা।

আরও পড়ুনঃ দোলের পরই জারি হবে পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি

আগামী শুক্রবার কলকাতা থেকে সাগর পর্যন্ত বিলাসবহুল ক্রুজ পরিষেবা চালু করা হচ্ছে বলে পরিবহন দফতর সূত্রে খবর। কলকাতারই এক বাঙালি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মুম্বইয়ের সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এই পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

কখন ছাড়বে ক্রুজঃ

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে প্রতিদিন সকাল ৭টায় মিলেনিয়াম পার্ক জেটি থেকে ছাড়বে এই ক্রুজ।

সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জলপথে সরাসরি পৌঁছে যাবে সাগরের কচুবেড়িয়ায়।

সুন্দরবনের পর্যটকরা ওই জাহাজেই পৌঁছে যেতে পারবেন নামখানা পর্যন্ত।

আবার ফিরতি পথে কচুবেড়িয়া থেকে ক্রুজ ছাড়বে বিকেল ৩:৩০ টে নাগাদ।

যা রাত ৮টার মধ্যে কলকাতায় ফিরে আসবে।

ক্রুজের গতিবেগ ও ভাড়াঃ

মাথাপিছু মাত্র ১০০০ টাকা ভাড়ায় আগ্রহী পর্যটকরা বিলাসবহুল এই জলযানে কলকাতা থেক সাগর বা নামখানায় পৌঁছে যেতে পারবেন।

একই ভাড়ায় ফিরতেও পারবেন সাগর থেকে।

পরিবহন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে মালয়েশিয়া থেকে নিয়ে আসা ওই বিলাসবহুল এই ক্রুজ শিপ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে।

নদীর নাব্যতা জনিত সমস্যার কথা মাথায় রেখেই জলযানের নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ #BGM: ছক্কার লক্ষ্যে ব্যাট হাতে মমতা, শুরু হল তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট

কেমন দেখতে হবে সেই ক্রুজঃ

এর মাত্র ১.৫ মিটার অংশ থাকবে জলের তলায়।

আধুনিক অন্দরসজ্জায় সজ্জিত এই জলযানে ১৫৬ টি আসন রয়েছে।

সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জলযানটিতে রয়েছে ৪ টি অত্যাধুনিক শৌচাগার, টিভি, সিনেমা দেখানোর দুটি জায়ান্ট স্ক্রিন।

যাত্রীরা সেখানে নিজেদের পছন্দ মত ক্রিকেট, ফুটবল ম্যাচ বা সিনেমা দেখতে পারবেন।

পাশাপাশি তাঁদের জন্য হালকা খাওয়চা দাওয়ারও ব্যবস্থা থকছে। যার দাম টিকিটের মধ্যেই ধরা থাকবে।

পুনশ্চঃ

গঙ্গাসাগরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুগম করতে এর আগেই হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করেছে রাজ্য সরকার।

কিন্তু তার খরচ অনেক বেশি হওয়ায় আকাশপথে সাগর পৌঁছানো সাধারণ তীর্থযাত্রী বা পর্যটকদের নাগালের বাইরে।

ফলে সুলভে কলকাতা থেকে সরাসরি জলপথে সাগরে যাওয়ার এই নতুন উদ্যোগ যথেষ্টই জনপ্রিয় হবে বলে পরিবহন কর্তারা আশাবাদী।

সম্পর্কিত পোস্ট