ভারতে করোনা আতঙ্কের সংখ্যা ২৯, নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন দেশ জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভারতেও ক্রমশ ছড়াতে শুরু করেন মারণ রোগ করোনা। বুধবার রাত অবধি ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯। গুরগাঁওয়ের এক পেটিএম কর্মী আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দু’দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে অফিস। বৃহস্পতিবার সংসদে এনিয়ে আলোচনা শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। রাজ্যসভার পাশাপাশি লোকসভাতেও এবিষয়ে চর্চা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গোটা দেশ এই মুহূর্তে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে । আগ্রায় যাতে এই রোগের লক্ষন ধরা পড়েছে। যাতে না সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ইরানে যারা আটকে পড়েছেন, তাঁদেরকে কিভাবে ভারতে নিয়ে আসা যায় সেনিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। পাশপাশি ইরানের করোনা আক্রান্তের ছবি কি রয়েছে তা জানার জন্য সেখানকার সরকারের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
একইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ইরানে যেসমস্ত ভারতীয় আটকে পড়েছেন, তাঁদের শরীরের স্কিনিংয়ের জন্য সন্ধ্যার মধ্যেই মেডিকেল টিম পাঠানো হবে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদেরকে ইরান থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করবে ভারত।
আরও পড়ুনঃ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে মারনরোগ করোনা, বিমানবন্দরে চলছে জোর কদমে স্ক্রিনিং
এই মুহূর্তে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ কে খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানিজেশন। কোনও মতেই করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেদিকে নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কোনও ব্যক্তি এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে অন্য ব্যক্তির দেহে এই রোগ প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত তিন দিন ধরে মারণরোগ করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এবিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আলাদা করে নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এমনকি বিষয়টির ওপর প্রধানমন্ত্রী আলাদ করে নজর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য বিমানবন্দরগুলিতে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এখনও অবধি অন্যান্য দেহ থেকে ৫ লক্ষের অধিক যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে বলে দাবী করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি যেসমস্ত দেশে কোভিড-১৯ মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সেখানের যোগাযোগ ব্যবস্থা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃচিনের পর করোনার কবলে বিশ্ববাসী,ভারতে আক্রান্ত ৬
সংসদে এবিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিরোধী পক্ষের সাংসদরাও। করোনা নিয়ে কোনভাবেই মানুষের মধ্যে যাতে না আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান রাজ্যসভার বিরোধী দলের নেতা গুলাম নবী আজাদ।
লোকসভায় এবিষয়ে আলোচনা চলাকালীন ডিএমকে সাংসদ কানিমোজি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র পুণেতেই ভাইরোলজির প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশের আরও কিছু জায়গায় যাতে ভাইরোলজি সরকার গঠন করতে পারে সেজন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
কোরনার ফলে জাতীয় অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে কি প্রভাব পড়েছে তা জানতে যান টিডিপি সাংসদ জয়দেব গাল্লা।