৫ জুন দলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠক ডাকলেন মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচনে শক্তি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে আগেই। তৃতীয়বারের জন্য বিপুল জনসমর্থন নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই জনসমর্থন কে কাজে লাগিয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে নিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এই লক্ষ্যে আগামী ৫ জুন দলের নেতা মন্ত্রী বিধায়কদের নিয়ে বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মে একুশের বিধানসভার ফল ঘোষণার পরেই বিজয়ী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই বৈঠক থেকেই দলের পরিষদীয় দলনেত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেছে নিয়েছিল দল। পাশাপাশি ওই বৈঠকেই ঠিক হয়ে যায় অধ্যক্ষ হিসাবে তৃতীয়বারের জন্য দায়িত্ব সামলাবেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই।

ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা এবং বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সাফল্যের এই পথে হেঁটেই সর্বস্তরে দলীয় সংগঠনকে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল ভবনে এই বৈঠকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের লোকসভার সাংসদ, রাজ্যসভার সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও পুরসভার চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসকদের।

মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠি ফিরিয়ে নেওয়া হোক, কেন্দ্রের কাছে আবেদন মমতার

শুক্রবার একযোগে বার্তা পাঠানো হয়েছে সবাইকে।মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়াও এই বৈঠকের থাকতে পারেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ৫ জুনের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।

নির্বাচনে জিতে বিজয় উৎসব পালন করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তার সরকারের প্রধান কাজ হবে এই মুহূর্তে কভিড মোকাবিলা করা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই লড়াই আরও কঠিন করে তুলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ।

মনে করা হচ্ছে এদিনের মিটিং থেকে, সংগঠনকে এই দুই সংকট মোকাবিলায় নামিয়ে দিতে পারে দল। পাশাপাশি, এদিনের বৈঠকে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

পাশাপাশি এই বৈঠক থেকেই রাজ্যে পুরসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে পারে দল। কলকাতা–সহ রাজ্যে ১১০টি পুরসভা মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জন্য আপাতত স্থগিত রয়েছে নির্বাচন। তাই এখন থেকে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই সাংগঠনিক বৈঠক।

আবার অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন। যাঁরা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছিলেন। সেই তালিকাটাও দীর্ঘ হচ্ছে। তা নিয়েও আলোচনা হবে। তার উপর রয়েছে রাজ্যের উপনির্বাচন। রাজ্যের ৬টি কেন্দ্রের উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ৬ মাসের মধ্যে। তার মধ্যে একটিতে প্রার্থী হবেন মমতা নিজেই। তাই আলোচনা হবে সেগুলি নিয়েও।

সম্পর্কিত পোস্ট