স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তির আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ছবি বদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ৩০ জন বিপ্লবীর ছবি এবং ভারতের জাতীয় পতাকার তিন রঙ সম্বলিত গ্রাফিক প্রোফাইল ছবিতে টাঙিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রোফাইল ছবি বদল করা হয়েছে।শুধু ছবি বদল করা নয়, ভারতবর্ষ সম্পর্কে নিজের ধারণার কথা অল্প কথায় ব্যক্ত করেছেন তৃণমূল নেত্রী। এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দেশ সম্পর্কে ধারণাও জানতে চেয়েছেন তিনি। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা নন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোফাইল বদল করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল ছবিতে একই ছবি টাঙিয়েছেন। একই ছবি ব্যবহার করে বদল করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের প্রোফাইল পিকচারও।

দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করার তোড়জোড় চলছে সর্বত্র। ভারতের সব রাজ্যে পালিত হচ্ছে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। কেন্দ্র সরকারের তরফে নির্দিষ্ট সূচিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সকলকে তা পালন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কেন্দ্রের তরফে হর ঘর তিরঙা কর্মসূচির কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।

গুড় বাতাসা বিলিতে প্রতিবাদ প্রহসন হয়ে গেল না তো!

এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোফাইল ছবিতে ৩০ জন বিপ্লবী এবং জাতীয় পতাকার তিন রঙ সম্বলিত ছবি পোস্ট করলেন। #MyIdeaForIndiaAt75 এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ধারণার কথা তুলে ধরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ভারত মানে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, নানা ধর্ম, নানা সংস্কৃতি হাত ধরাধরি করে চলে। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা কি এই সুন্দর বৈচিত্র্যময় দেশের গর্বিত মানুষ নই? আমাদের কাছে ভারত মানেই ঐক্য। কিন্তু আমাদের ধারণা ভিন্ন।’ শেষে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ভারত সম্পর্কে আপনার কী ধারণা?’

রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট বার্তার দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে প্রত্যাশাকে মিলিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বৈচিত্র, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, সহাবস্থান, গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার বিপন্ন হওয়ার অভিযোগ বারে বারে উঠছে। সম্ভবত, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সরাসরি কোনও বিবাদ, সংঘাত টেনে আনেননি সচেতনভাবেই।

সম্পর্কিত পোস্ট