৩৭০ ধারা অবলুপ্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি, উঠল “আজাদ হিন্দুস্থান জিন্দাবাদ” স্লোগান
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: কেটে গিয়েছে দু’বছর। আজকের দিনে ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা মুছে দিয়েছিল মোদি সরকার। বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে তিনটি ভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে মোদি সরকার। আজ তারই বর্ষপূর্তি।
জম্মু-কাশ্মীরকে দেশের অংশ হিসেবে মানচিত্রে তুলে ধরতে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় ওমর আব্দুল্লাহ, ফারুক আব্দুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি সহ অনেককেই দীর্ঘদিন গৃহবন্দী করে রাখে কেন্দ্রীয় সরকার।
উপত্যকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হলেও বর্তমানে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক বলা চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা হয়েছিল আন্তর্জাতিক স্তরে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের জুন মাসেই প্রধানমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। উপত্যাকার হাল-হকিকত জানতে চান তিনি। সঠিক সময় জম্মু-কাশ্মীরকে পুরনো মর্যাদায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকের পরই আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপত্যাকার পরিস্থিতি। জম্মু এয়ারবেসে বিস্ফোরণ, পুলওয়ামায় এক পুলিশ অফিসারের খুন সহ জম্মুর আকাশে অজানা ড্রোনের উপস্থিতি নতুন করে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করে।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে। একাধিকবার জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মনে করা হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদি সরকার।
এদিন ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাজির হয়েছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি তরুণ চুঘ।
এদিন শ্রীনগরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় স্লোগান ওঠে “ভারত মাতা কি জয়” ও “আজাদ হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ”। সারাদিন ব্যাপী একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন বিকেলেই দিল্লি ফিরে আসবেন তরুণ চুঘ।