শহর কলকাতার প্রতি চারজনের একজন করোনা আক্রান্ত: সেরো সার্ভের রিপোর্ট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  এই মুহূর্তে দেশে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ভারতে ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৯০ হাজার ৮০২ জন। দেশে মোট আক্রান্ত ৪২ লক্ষ ৪ হাজার ৬১৪। করোনায় দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণে টানা পাঁচদিন বিশ্বে প্রথম। গত ৩২ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের নিরিখেও বিশ্বে শীর্ষে ভারত।

এছাড়াও, এদিন দৈনিক মৃত্যুতেও বিশ্বে ভারত সবার ওপরে। এই অবস্থা দেশব্যাপী হওয়া সেরো সার্ভের রিপোর্ট সম্প্রতি সামনে এসেছে। এই রিপোর্ট অনুসারে কলকাতায় প্রতি চারজনের মধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত।

এই মুহূর্তে ঠিক কত শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন তা জানার জন্য প্রত্যেক বড় শহর ও রাজ্যে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা।

কলকাতা শহর ও পশ্চিমবঙ্গেও সেই সেরো সার্ভে চালিয়ে দেখা গিয়েছে, গড়ে ২৬ শতাংশ কলকাতাবাসীর দেহে তৈরি হয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি।

অর্থা‍ৎ শহরের প্রতি চারজনের একজন গড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই উপসর্গহীন।কলকাতা শহরে এই হার যখন ২৬ শতাংশ তখন বাকি জেলাও হলে গোটা পিছিয়ে নেই।

এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অন্তত ২৩ শতাংশ বঙ্গবাসীর দেহে ইতিমধ্যেই করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। যা তাদের পরবর্তী কোভিড আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই হার জাতীয় গড় হারের তুলনায় কম।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/there-was-no-corruption-in-the-purchase-of-corona-equipment-investigation-report/

সেরো সার্ভের ফলাফল জানাচ্ছে, গোটা ভারতে এই মুহূর্তে গড়ে ২৭ শতাংশ মানুষের দেহে কোভিডের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন কলকাতার ৯,০৪১ জন এবং পশ্চিমবঙ্গের ২২ হাজার ৫৮৯ জন। তাদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হয় রক্তে কোভিডের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা।

এর দ্বারাই বোঝা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও সময়ে এই ভাইরাস এর সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা। এই সমীক্ষা চালিয়েছে বেসরকারি সংস্থা থাইরোকেয়ার।

সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, কলকাতা শহরের পোস্তা বড়বাজার এলাকার মানুষের দেহে কোভিডের সর্বাধিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। বড়বাজারের প্রায় ৪৭ শতাংশ মানুষের দেহে কোভিডের অ্যান্টিবডি ধরা পড়েছে।

আহিরীটোলা-শোভাবাজার এলাকায় এই হার ৪৬ শতাংশ। বেহালায় অ্যান্টিবডি রয়েছে ৪২ শতাংশ মানুষের দেহে। কাকুরগাছিতে তা ৩৮ শতাংশ।

অন্যদিকে গোটা রাজ্যে সর্বাধিক অ্যান্টিবডি দেখা গিয়েছে দার্জিলিং জেলার মানুষের দেহে। দার্জিলিংয়ের প্রায় ৪১ শতাংশ মানুষের দেহে মিলেছে কোভিডের অ্যান্টিবডি।

সবচেয়ে কম অ্যান্টিবডি মিলেছে বাঁকুড়া জেলার মানুষের দেহে। সেখানে ৬.৩ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট