পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদ থাকবে শাসক শিবিরের হাতেই !
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: 2016 সালে যেমন পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দীর্ঘদিন শাসক বিরোধী দলের মধ্যে টানাপড়েন চলেছিল এবারও একই চিত্র দেখা যেতে পারে। অন্তত রাজ্য বিধানসভা সূত্রে তেমনি খবর।
বিরোধী দল বিজেপির অন্দরে ইতিমধ্যেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তাই নিয়ে ঝাড়াই-বাছাই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই দৌড়ে রয়েছেন বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী এবং রানাঘাট উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়।
এর মধ্যেই বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসকদলের তরফ থেকে পাবলিক একাউন্টস কমিটি বিরোধীদের নাও ছাড়া হতে পারে। যদিও এই নিয়ে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টিকে সরাসরি স্পিকারের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। বলেছেন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুশকিলটা হল এতদিন পর্যন্ত এই পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পদ সাধারণত বিরোধী দলকেই ছাড়া হয়। সংসদ এবং বিধানসভা দুই ক্ষেত্রেই এটাই রীতি। কিন্তু এ বিষয়ে কোন লিখিত নির্দেশ নেই যে এই পদ বিরোধীদেরই দিতে হবে। আর এই নিয়মের ফাঁক গলে এবার বিরোধীদের জন্য এই কমিটির চেয়ারম্যান পদ নাও ছাড়া হতে পারে।
এদিন এই নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রীতি অনুযায়ী এই পথ বিরোধীদের ছাড়া হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে বাম কংগ্রেস মিলিতভাবে এই পদের জন্য সুজন চক্রবর্তীর নাম মনোনীত করেছিল। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে চেয়ারম্যান পদ না দিয়ে মানস ভুঁইয়াকে চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেন।
তারপর কি হয়েছিল সকলেরই জানা। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার কোনও রীতিনীতির ধার ধারে না। ফলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবার হলে সত্যিই কিছু বলার থাকবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বিবেচনা প্রয়োগ করেই তৎকালীন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়াকে পিএসি-র চেয়ারম্যান পদটি দিয়েছিলেন। যদিও বিরোধী বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের পক্ষ ওই পদের জন্য তৎকালীন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বিরোধীদের সেই প্রস্তাব না মেনে স্পিকার পিএসি-র চেয়ারম্যান করেন মানসকে। ঘটনাচক্রে, মানসও তখন বিরোধী শিবিরেরই বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু এবার বিরোধী বিজেপি-র কোনও বিধায়ক নন, পদটি পেতে পারেন শাসকদলের কোনও বিধায়কই।
বিধানসভার একটি সূত্রের দাবি, স্পিকার নিজের বিবেচনা প্রয়োগ করে শাসকদলের কোনও প্রতিনিধিকে পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করতে পারেন। বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, তেমন হলে যথাসময়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিরোধী দলনেতাই নেবেন।