করোনা কালে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল না পাওয়ার অভিযোগ বিরোধীদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহে এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ভবিষ্যত নিয়ে ধোঁয়াশা। কেন্দ্রের তরফে সাংসদ তহবিলের টাকা খরচের বিষয়টি দু’বছর স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য অবশ্য সে পথে হাঁটেনি।

কিন্তু যেহেতু বর্ধিত বাজেট অধিবেশনই করা যাচ্ছে না কোরোনার কারণে ফলে বিধায়করা এই টাকা আদৌ ঠিক টাইমে পাবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ।

এই অবস্থায় বিরোধী বিধায়কদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, তাঁরা এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা পাচ্ছেন না । চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বিধায়ক তহবিলের কোনও টাকাই। আর সেকারণেই তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তবে কেন্দ্রের মতো রাজ্যের ক্ষেত্রেও বিধায়ক তহবিলের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফে তেমন কথা বলা হচ্ছে না। শাসক দলের এক বিধায়কের কথায়, এই সরকার রাজ্যবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর। তাই শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও এই সরকার মানুষের উন্নয়নের জন্য চালু প্রকল্প গুলি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে এই অবস্থায় তাঁর খরচের একটা বড় অংশই করোনা মেনেজমেন্টে খরচ করছে। তবে এটা ভাবার কারণ নেই তাই বলে মানুষের বাকি উন্নয়নের কাজ বন্ধ রেখে দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর কথায় ধাপে ধাপে অর্থনৈতিক সব দিক বিবেচনা করে তা চলবে। তিনি আরও বলেন, করোনা কালেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করেন নি। এমনকী বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতার গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রকল্পগুলিকে কোনওভাবে ছেদ পড়েনি। তাই আমরা মনে করি এলাকা উন্নয়ণ তহবিলও বন্ধ হবে না।

কোভিড আপডেটঃ ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪,৫৫৩ জন

নবান্নের এক পদস্থ আধিকারিকের বক্তব্য, করোনা মোকাবিলায় ব্যাপক খরচের পর এখনই যে সাধারণ উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব নয়, সেটা নিশ্চয়ই বিধায়করা সকলে বুঝতে পারবেন। খুব দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলে, বিধায়ক তহবিলের টাকায় উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা যেতে পারে বলে প্রশাসনের বড় অংশ মনে করছে। সেই কারণেই এখনই কোনও তারিখ বা মেয়াদ জানানো হয়নি।

বিরোধী দলের বিধায়করা অবশ্য দ্রুত টাকা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এপ্রিল থেকে বারবার চেয়েও কোনও টাকা পাইনি। নির্দিষ্ট কারণও দেখানো হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, অর্থের কিছু ঘাটতি রয়েছে।’

এ ব্যাপারে মন্ত্রী তাপস রায়ের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন বলে অশোকবাবুর বক্তব্য। তবে মার্চ পর্যন্ত সময়েও পুরো টাকা তিনি পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। বিরোধী দলের পাশাপাশি শাসকদলের গ্রামীণ এলাকার বিধায়করাও টাকা না পাওয়ায় উন্নয়নের কাজ করতে পারছেন না বলে আক্ষেপ।

পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে যে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে তহবিলের টাকা দেওয়া কার্যত অসম্ভব, সেটাও স্বীকার করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট