আগামী সপ্তাহেই রদবদল, তারুণ্যের উপরেই জোর দিচ্ছেন মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৫ জুন তৃণমুল ভবনে কোর কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন চালু হবে “এক পদ এক নীতি”। অর্থাত কোনো মন্ত্রীকে আর জেলার সভাপতি বা দলের অন্য কোন সাংগঠনিক পদে রাখা হবে না। তেমনি কোন পদাধিকারীকে নিয়োগ করা হবে না প্রশাসনিক পদে। জেলাস্তর থেকে ব্লকস্তর পর্যন্ত এ নিয়ম কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে বৈঠক শেষে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন দলীয় শুদ্ধিকরণের কাজ আগামী দিনেও জারি থাকবে।
সেই নিয়ম অনুযায়ী, অন্তত চারটি জেলার জেলা সভাপতি বদল করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অথবা অবিলম্বে বদলাতে হবে মন্ত্রিসভায়। এই চারজনের ক্ষেত্রে একটি পদ ছাড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে নতুন মুখ কারা উঠে আসতে পারেন সেই তালিকায় তা নিয়েই জোর জল্পনা চলছে।
- প্রথমেই নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। কারণ জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে বনমন্ত্রী।
- এরপর হাওড়া গ্রামীণ এর সভাপতি পুলক রায় বর্তমানে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দায়িত্বে।
- পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বর্তমান সেচমন্ত্রী।
- পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ রয়েছেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বে।
তৃণমূল সূত্রের খবর প্রায় ১০ থেকে ১২ টি জেলায় সভাপতি পরিবর্তন করতে পারে শাসক শিবির। সূত্রের খবর জেলা সভাপতি পদের ক্ষেত্রে এবার প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে নবীনদের। আগামী দিনের জন্য দলকে আরো চাঙ্গা করে তুলতে নবীনদের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২০২১- র সাফল্যের পর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সংগঠনকে মজবুত করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে দল।
Mamata Banerjee meets Prashant Kishor: সাংগঠনিক রদবদলের আগে পিকের সঙ্গে বৈঠকে মমতা
একাধিক জেলার সংগঠনের মাথা পরিবর্তন করার পাশাপাশি অনেক রাঘববোয়ালদের ডানা ছাঁটা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছেনা শাসক শিবিরের। সামনে পুরসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই নতুন করে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ‘এক পদ এক নীতি’ কার্যকর করা হলে কোপ পড়তে পারে অনেকের ওপরই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম সহ আরো অনেককেই ছাড়তে হতে পারে জায়গা।
রাজনৈতিক মহলের মতে ধীরে ধীরে গোটা বিষয়টি পরিবর্তন করা হতে পারে। একেবারে ঝটকা দিলে অনেকেই তা মেনে নিতে পারবেন না । তাই জেলা স্তরের পরিবর্তনকে ধীরে ধীরে রাজ্যস্তরে লাগু করা হবে। সংগঠন পরিবর্তন হোক বা নতুন রণনীতি গ্রহণ- সবক্ষেত্রেই এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একথা কারোর অজানা নয়।
একইসঙ্গে পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই যুব সংগঠনকে মজবুত করতে বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে দল। পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্রুত সেই কাজ সেরে ফেলতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সব মিলিয়ে ২১ জুলাই-র আগেই বড়সড় কোন পরিবর্তন হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরে তা স্পষ্ট।