কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে কমলনাথ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সর্বভারতীয় সভাপতির পদ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে। দলীয় সূত্রে খবর মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে সর্বভারতীয় সভাপতি পদের দায়িত্ব দিতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে বৈঠকে হাজির হন তিনি। উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতির পদে কমলনাথ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছে। দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন গুলাম নবি আজাদ, শচীন পাইলট, দ্বিগবিজয় সিং এর মতো বর্ষিয়ান নেতৃত্বরা । তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ইন্দিরা ঘনিষ্ঠ কমলনাথ এগিয়ে রয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি পদে।
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর স্বেচ্ছায় দলের কার্যকরী সভাপতি পদের দায়িত্ব অস্বীকার করেন রাহুল গান্ধী। সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার পর সর্বদলীয় সভাপতি পদ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি কংগ্রেস।
এর আগে সভাপতি পদ নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। এরপর করোনার কারণে গত বছর থেকে তিনবার স্থগিত করা হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচন। ২৩ জুন নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা বাতিল করা হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া না হওয়া পর্যন্ত সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বহাল থাকবেন সোনিয়া গান্ধী।
বঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে এবার সংখ্যালঘু এলাকায় ৩ সদর দফতর তৈরীর সিদ্ধান্ত সঙ্ঘের
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেছে কংগ্রেস। তাই ওয়ার্কিং কমিটিতেও বিরাট বদন আনতে চলেছে কংগ্রেস। এরই মাঝে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রাহুল এবং সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রকট হয়ে উঠেছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেস যোগের জল্পনা।
রাজনৈতিক মহলের মতে আগামী ৭ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই দ্রুত রদবদল করতে চাইছে কংগ্রেস। সে ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেয় হাইকমান্ড আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে।