বাংলার সেফ হোম মডেল এবার অনুসরণ করছে অন্য রাজ্যগুলিও
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১০৬টি ‘সেফ হোম সেন্টার’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করল কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, করোনা রুখতে রাজ্যের এই পথকে অনুসরণ করছে অন্য রাজ্যগুলি।
এই মুহূর্তে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হল গোষ্ঠি সংক্রমণ আটকে দেওয়া। শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা।
এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের এই ‘সেফ হোম’ তৈরির ভাবনার প্রশংসা করেন।তিনি স্বীকার করেন যে এই সেফ হোম মডেলের দৌলতে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখা যাবে।
ফের ভাঙন বিজেপিতে, উত্তর ২৪ পরগণায় ৫০০ পরিবার যোগ দিলেন তৃণমূলে
কিছুদিন আগে এই রাজ্যে ১০৬টি সেফ হোম সেন্টার চালু করার কথা ঘোষণা করে নবান্ন। কলকাতা-সব বিভিন্ন জেলায় একাধিক ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হয়েছে।
গোটা দেশে এমন পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গই প্রথম। উপসর্গ নেই এমন রোগী বা হাল্কা উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। অনেকের বাড়িতেই সেই পরিকাঠামো নেই। সেই কথা ভাবেই রাজ্য সরকার এই সেফ হোম সেন্টার চালু করেছে।
এখানে সেল্ফ আইসোলেশনে থাকা রোগীদের ওপরে নজরদারি চালাবেন চিকিৎসক থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। শ্বাসকষ্ট হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। না হলে এই সেফ হোম সেন্টারে রাখা হবে রোগীদের। সরকার সব রকমভাবে সাহায্য করবে।
তবে এখন কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা-সহ ৬টি জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় তা নিয়ে উদ্বিগ্নতা ছড়িয়েছে নবান্নের অন্দরে। তাই সেফ হোম সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর কথা যেমন ভাবচ্ছে রাজ্য সরকার।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথ অনুসরন করে রাজস্থানের বুকেও গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে এবার সেফ হোম সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জয়পুর, যোধপুর, বিকানের, জয়সালমের, উদয়পুর, ভরতপুরের মতো জায়গাগুলিতে দ্রুত সেফ হোম সেন্টার গড়ে তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছে সেখানকার রাজ্য সরকার।
আগামী দিনে বাংলার এই মডেল যে দেশের অনান্য রাজ্যের বুকেও অনুসরন করা হবে তার নমুনাও মিলছে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক এখন বাংলার এই সেফ হোম সেন্টার নিয়ে খোঁজখবর করতে শুরু করে দিয়েছে খবর।আর সেকারণেই বাংলার প্রশংসা না করে উপায় নেই কেন্দ্রের।