মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, সাসপেন্ড ডাঃ শান্তনু সেন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। যা নিয়ে সরগরম ছিল সংসদ। সেই কীর্তির কারণে সাসপেন্দ করে দেওয়া হল তৃণমূল সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনকে।

শুক্রবার সকালে অধিবেশন শুরুর সময়ে ওই সাংসদকে কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি জানিয়ে দেন যে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল তৃণমূলের ওই সাংসদকে। এই ঘোষণার পরেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন তৃণমূলের সাংসদেরা।

এদিন সকালেই শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির একাধিক সাংসদ। সেই দলে ছিলেন বিজেপির লিডার পীযুষ গোয়েল, ডেপুটি লিডার মুখতার আব্বাস নাকভি এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ভি মুরলীধরণ।

পেগাসাস নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত ছিল সংসদ। সাংসদকে সাসপেন্ড করা নিয়ে বিক্ষোভ আরও চরমে ওঠে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে অধিবেশন।

পেগাসাস-বিতর্কে আজও উত্তাল সংসদ, অধিবেশন শুরুর আগেই গান্ধী মূর্তির পাদদশে বিরোধীর

বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পেগাসাস ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বীনি বৈষ্ণব বক্তব্য রাখার সময়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। শুধু তাই নয়, কেড়ে নিয়েই সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার ওই সাংসদ।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সমগ্র ঘটনা ব্যাখ্যা করেন তৃণমুলের সাংসদেরা। সেই সময়ে ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, “অধিবেশনের শেষে আমায় ডেকেছিলেন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। আমি গেলে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অত্যন্ত কুরুচিকর ভাষায় হুমকি দেওয়া শুরু হয়। শারীরিক হেনস্থার চেষ্টাও হয়। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”

সম্পর্কিত পোস্ট