ইমরান খান আদৌ রেকর্ড ভাঙতে পারবেন? ‘ক্যাপ্টেনকে’ ঘিরে জোর সংশয় পাকিস্তানে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নওয়াজ শরিফ, ইউসুফ রাজা গিলানিরা কাছাকাছি গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরাও ব্যর্থ হন। আজও পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কেউ একটি পুরো টার্ম অর্থাৎ পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। অনেকেই ইমরান খানকে নিয়ে আশা করেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট ‘ক্যাপ্টেন’ যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন তখনই বিরল ইতিহাস তৈরি হয়েছিল।
পাকিস্তানিদের পাশাপাশি সারা বিশ্ব মনে করেছিল স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ইমরান পুরো মেয়াদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাটাতে পারবেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছর হওয়ার পরই ইমরানের গদি টলমল। ইসলামাবাদের একাধিক সূত্রে খবর, ক্যাপ্টেনের বিদায় বার্তা লিখে ফেলেছে সর্বশক্তিমান সেনাবাহিনী! যদিও এত সহজে হাল ছাড়তে রাজি নন ইমরান।
ইমরান খানের বিপদ আসলে ঘরে এবং বাইরে। প্রধান বিরোধী পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ইমরানের বিরোধিতা করে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ বিপদ ছিল না এই বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেনের।
বগটুইতে মমতাঃ আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস
সমস্যা তৈরি করে তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। প্রায় ২৫ জন ইনসাফ সাংসদ ইমরানের বিপক্ষে চলে গিয়েছেন। বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর। এটা যদি শেষ পর্যন্ত সত্যি হয় তবে ইমরান সরকারের পতন নিশ্চিত।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ঘরোয়া কোন্দল সামলাতে সামলাতে ব্যর্থ ইমরানের প্রতি অসন্তুষ্ট পাক সেনাবাহিনীও। সে দেশের রাজনীতির প্রকৃত নিয়ন্ত্রক সেনাবাহিনী নাকি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়ার বার্তা দিয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে লড়াইয়ের বার্তায় দিয়ে চলেছেন ইমরান খান।
জানিয়েছেন হারার আগে হারবেন না। যা দেখে অনেকেরই তাঁর অধিনায়ক জীবনের কথা মনে পড়ছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় আছে।