পুজোর পাশাপাশি মহালয়াতেও রকমারি খাবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে পঞ্চায়েত দপ্তর

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: পুজোর পাশাপাশি এবার মহালয়ার দিনেও জিভে জল আনা রকমারি খাবার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে পঞ্চায়েত দপ্তর।

বিগত কয়েক বছরের টানা সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে এ বছরও পুজোর দিনগুলিতে রকমারি খাবারের পসরা সাজিয়ে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিল রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পূজোর পাঁচ দিন তো বটেই এবছরই প্রথম মহালয়ার দিনেও বিশেষ মেনু হোম ডেলিভারি করার উদ্যোগ নিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন সংহত এলাকা উন্নয়ন নিগম- ডব্লিউবিসিএডিসি।

অতি মারির কারণে এখনো বহু মানুষ হোটেল রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবার কথা ভাবতে পারছেন না। অনেকের কাছে বয়স বা অসুস্থতাজনিত কারণে বাইরে খেতে যাওয়া সম্ভব নয়। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।

গতবছর দুর্গাপুজো খাবারের হোম ডেলিভারি করে চার লক্ষ টাকার বেশি রোজগার করেছিল ডব্লিউবিসি এডিসি। এবার মুনাফার পরিমাণ আগের অংক কে ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। হোম ডেলিভারি ছাড়াও কলকাতার সাতটি বড় পুজো প্যান্ডেলে এবার খাবারের স্টল তৈরি করা হবে বলে নিগমের তরফে জানানো হয়েছে।

ফোন করার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খাবারের অর্ডার করা যাবে। তার জন্য নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে।

9163323556,9163312808,6290225859,8170887794 এই নাম্বারগুলোতে খাবারের অর্ডার করা যাবে।

মধ্যাহ্নভোজের জন্য অর্ডার দিতে হবে আগের দিন রাত নটার মধ্যে। আর নৈশভোজের প্যাকেট বাড়িতে পেতে গেলে সেদিন সকাল দশটার মধ্যে অর্ডার দিলেও চলবে বলে জানানো হয়েছে।

মানুষের মন জয় করতে খাবারের তালিকাতে যথেষ্ট বৈচিত্র রাখা হয়েছে মহালয়ার দুপুর ও রাতে সম্পূর্ণ নিরামিষ মেনু তে থাকছে: লুচি ,ছোলার, ডাল বাসন্তী পোলাও,আলুর দম, চাটনি এবং মিষ্টি পান। যার দাম ধার্য করা হয়েছে ২০০ টাকা।

ষষ্ঠীর দুপুরে মেনু তে থাকছে:

রাধাবল্লভী, আলুর দম,বাসন্তী পোলাও, মাছের পাতুরি ,চিকেন কষা ,চাটনি এবং মিষ্টি পান। যার দাম প্লেট পিছু ৪০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।

সপ্তমীর মেনুতে থাকছে:

সরু চালের ভাত,মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, ফিস বাটার ফ্রাই, দই কাতলা, সরষে ইলিশ, চাটনি এবং মিষ্টি পান।যার দাম ৪২৫ টাকা প্রতি প্লেট

অষ্টমীর মেনু:

খিচুড়ি, লাবরা ,বেগুনি ,চাটনি ,পাপড় ,পায়েস এবং মিষ্টি পান। দাম ২৫০ টাকা প্রতি প্লেট।

নবমীর দিন মেনুতে থাকছে:

সরু চালের ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, ফিশ ফ্রাই ,কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি ,মিষ্টি, মিষ্টি দই এবং পান। এরো দাম ধার্য করা হয়েছে ৪২৫ টাকা।

বিজয়াদশমী মানে

বাঙালির কাছে মিষ্টি মুখ করার দিন। সে কথা মাথায় রেখে সেদিনের মেনু তে থাকছে রাজ্যের বিখ্যাত কিছু মিষ্টি:

শক্তিগড়ের ক্ষীরের ল্যাংচা, বর্ধমানের সীতাভোগ, রানাঘাটের পান্তুয়া, মিহিদানা এবং রসগোল্লার পাশাপাশি সাদা পোলাও এবং নবরত্ন কোরমা।

রাতের মেনুতে অবশ্য তেমন কোন বৈচিত্র রাখা হয়নি। অষ্টমী বাদে পুজোর প্রতি রাতেই মেনুতে থাকবে রায়তা সহযোগে চিকেন বিরিয়ানি এবং চিকেন চাপ।যার দাম ধার্য করা হয়েছে ৫০ টাকা।

অষ্টমীর রাতে নৈশভোজের মেনু সাজানো হয়েছে নিরামিষ উপকরণে। ১৫০ টাকা মূল্যের খাদ্য তালিকায় থাকছে লুচি ধোকার ডালনা বেগুন ভাজা এবং মিষ্টি।

সম্পর্কিত পোস্ট