ক্রেতার দেখা নেই, ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার পথে পার্ক স্ট্রিট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো রাজ্যেও ছিল লকডাউন। তিন মাসের বন্দিদশা কাটিয়ে এখন শুরু হয়েছে আনলক-১।

অর্থাৎ, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পালা। যদিও করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেই হবে সবাইকে।

দোকানপাট খোলার পাশাপাশি অফিস-আদালতের কাজকর্মও শুরু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সত্যিই কী স্বাভাবিকতায় ফিরেছে জনজীবন?

গণপরিবহণে ভীড় হলেও পার্ক স্ট্রিটে যেন সেই ম্যাড়মেড়ে ভাব। লকডাউন শিথিল অর্থাৎ আনলক-১ চালু হতেই এখানে আগের মতো খুলে গিয়েছিল রেস্তেরাঁ, দোকান, শপিং মল ইত্যাদি। দোকানিরা আগের মতো পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছিলেন।

গালওয়ানে অনুপ্রবেশ ঘটেনি’, তবে ‘কেন জওয়ানদের মৃত্যু?’ মোদিকে প্রশ্ন মহুয়ার

কিন্তু খদ্দের কোথায়? অগত্যা আনলকের সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ঝাঁপ বন্ধের পথেই হাঁটছেন দোকানিরা। কার্যত অলিখিত লকডাউনের পথেই হাঁটতে চলেছে পার্ক স্ট্রিট।

এখানকার সাধারণ দোকানদার থেকে শুরু করে বড় বড় ব্র্যান্ডের শোরুম মালিকদের বক্তব্য, এমনিতেই তেমন বিক্রিবাটা নেই। তার উপরে শোরুমের ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদির ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে।

তাই ক্ষতির হিসাব না বাড়িয়ে কিছুদিন বন্ধ রাখাই ভাল। কেউ কেউ আবার রাখঢাক না রেখেই বলছেন, পার্কস্ট্রিটে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জীবন আরও রঙীন হয়ে ওঠে।কিন্তু স্কুল-কলেজ বন্ধ। নানান কারণে জনসমাগমের অভাব রয়েছে। তাই লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা শুধুই লোকসান।

বিষয়টিকে ভিন্নরুপে ব্যাখ্যা করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা মনে করছেন, করোনা আবহে আর্থিক বিপর্যয় হয়েছে। এই বিপর্যয়ে অনেকেই খুইয়েছেন কাজ, কেউবা কম বেতন পাচ্ছেন। তাই খুব দরকারি জিনিস ছাড়া অন্য কিছু কিনতেই চাইছেন না।

সম্পর্কিত পোস্ট