বিজেপির সাহায্য নিতে পিছপা হচ্ছে না তৃণমূলের একাংশ!

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পুরভোটের দিন অশান্তি কাকে বলে প্রত্যক্ষ করেছিল বাংলা। এবার সেই পুরসভাগুলির বোর্ড গঠন শুরু হতেই আবার অশান্তির চোখরাঙানি রাজ্যে। একাধিক জায়গায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ থোড়াই কেয়ার করে স্থানীয় নেতারা নিজেদের মতো করে বোর্ড গঠন শুরু করেছে।

প্রয়োজনে বিজেপির সাহায্য নিয়েও ক্ষমতা দখল করছেন তাঁরা! পরিস্থিতি এমনই যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বোর্ড গঠন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন।

বুধবার থেকে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে বোর্ড গঠন শুরু হয়েছে। বেশ কিছু পুরসভায় নির্বিঘ্নে বোর্ড গঠন হলেও খড়ার, কালনা পুরসভার ছবি ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। এই দুই পুরসভাতেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের মনোনীতরা পুরপ্রধান হতে পারেনি। ভোটাভুটিতে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা পুরপ্রধান নির্বাচিত হয়।

পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়ার পুরসভায় ওয়ার্ড সংখ্যা ১০। তৃণমূল দলীয়ভাবে এই পুরসভায় সন্ন্যাসী দোলুইয়ের নাম পুরপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু দুই বিজেপি কাউন্সিলরের সাহায্য নিয়ে ৪-৬ ভোটে সন্ন্যাসী দোলুইকে হারিয়ে পুরপ্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের‌ই অদ্যুৎ মণ্ডল!

State CPIM Md Selim : রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম

পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভার ঘটনা অবশ্য অনেক বেশি নাটকীয় ছিল। তৃণমূল এই পুরসভায় আনন্দ দত্তকে পুরপ্রধান ও তপন পোড়েলকে উপ পুরপ্রধান করবে বলে ঠিক করেছিল। কিন্তু তপন পোড়েল পুরপ্রধান হওয়ার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নামেন।

বুধবার সকাল থেকেই কালনা পুরসভা চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে এসে হাজির হন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর সামনেই এক তৃণমূল কাউন্সিলর পুরভবনের উপরের তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে!

১৮ টি ওয়ার্ডের কালনা পুরসভায় শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি হয়। তাতে দলের মনোনীত পুরপ্রধান আনন্দ দত্তকে ৪-১২ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তপন পোড়েল। কিন্তু এরপরই পুরপ্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাতিল করেন জেলাশাসক। তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব পুরপ্রধান পদে জয়ী তপন পোড়েলকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

ঘটনার ঘনঘটায় স্পষ্ট পুরসভাগুলির ক্ষমতা দখল করেও সন্তুষ্ট নন তৃণমূল নেতারা। তারা এবার নিজেদের মধ্যে গোলমাল শুরু করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট