মন্ত্রিসভার আসন্ন রদবদলে ‘নক্ষত্র’ পতন ঘটাতে পারেন মমতা!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ পাঁচ বছর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কখনও তিনি শিক্ষা মন্ত্রী, কখনও শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বা পরিষদীয় মন্ত্রীর মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন।
কার্যত মন্ত্রিসভায় নম্বর টু হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েই এখন প্রবল বিড়ম্বনা শাসক দলের। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বারবার দুর্নীতিবিরোধী বার্তা দিলেও তাঁর এই মন্ত্রীর জন্য সরকারের ভাবমূর্তি যে কালিমালিপ্ত হচ্ছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এসএসসি কাণ্ডে বারবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসা, তাঁর জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বিব্রত তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সরকারেরও বিরম্বনার শেষ নেই। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রীকে দু-দুবার সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। শোনাচ্ছে তাঁকে আবার তলব করতে পারে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে দিলে তিনি সর্বোচ্চ আদালতে যান। কিন্তু সেখানেও এখনও পর্যন্ত কোনও রক্ষাকবচ পাননি।
পুরুলিয়ায় কড়া মেজাজে মমতা, বাঁচতে চাইলে সতর্ক হোক বাকি জেলা
ফলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই হোক আর নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে, এই মুহূর্তে মনে করলে সিবিআই গ্রেফতার করতেই পারে রাজ্যের এই ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে। এতে কোন দোষ না করেও অস্বস্তি বাড়বে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার আসন্ন রদবদলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছেঁটে ফেলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
লক্ষণীয় বিষয় হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেমন কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তেমনই তাঁর পাশে দল এসে দাঁড়ায়ওনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনও কথা বলেননি বলে সূত্রের খবর। এক্ষেত্রে সরকারের প্রধান হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা খুব স্পষ্ট, তুমি অন্যায় করলে তার শাস্তি পেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার আসন্ন রদবদলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিলে তা নক্ষত্র পতনের সমান ঘটনা বলেই বিবেচিত হবে রাজনৈতিক মহলে।