“পার্টি আমার, পার্টি তোমার, পার্টি কারোর বাবার নয়”- বিস্ফোরক চন্দ্র কুমার বসু

শুভজিৎ চক্রবর্তী

বিজেপির সর্বভারতীয় কমিটি গঠন হয়েছে এক সপ্তাহ হয়নি। এরই মধ্যে ক্ষোভের আগুন বেড়ে চলেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। মুকুল রায় এবং অনুপম হাজরার মতো তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের পদোন্নতিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। এবার তাতেই ঘি ঢেলে দিলেন চন্দ্র কুমার বসু।

সোমবার টুইট করে তিনি বলেন, “পার্টি আমার, পার্টি তোমার, পার্টি কারোর বাবার নয়”।

এটাই প্রথম নয়। এর আগেও গেরুয়া শিবিরের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একাধিক টুইট করেছেন চন্দ্রকুমার বসু। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বর্ষীয়ান নেতার টুইট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সর্বভারতীয় বিজেপির কমিটি গঠন করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। সহ-সভাপতি পদে বাংলা থেকে নির্বাচিত হন মুকুল রায়। এক সময় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের নেতৃত্বে ১৯ এর নির্বাচনে বিজেপির উল্লেখযোগ্য ফলাফল মুকুল রায়ের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চোখ টানে।

সেইসঙ্গে দায়িত্ব বেড়েছে তৃণমূল থেকে আসা অনুপম হাজরার। মুখপাত্র পদ পান রাজু বিস্ত। কিন্তু ৪০ বছর ধরে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থেকেও বিশেষ পদমর্যাদা পেলেন না রাহুল সিনহা৷ উল্টে সহ-সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।

৫০ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় সেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তিনি জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আপাতত সেদিকেই ফোকাস সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির।

তবে দায়িত্ব পেয়েই নির্বাচনের কাজে নেমে পড়েছেন বাংলার চানক্য। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে রাহুল সিনহা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাহুলই বাংলার মুখ। ওঁর অবদান অনেক।”  তবে রাহুলের ক্ষতে মুকুলের এই টোটকা কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ক্রমশ ক্ষোভ বেড়েই চলেছে বিজেপির অন্দরে। দলের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথাগত রায়।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/controversy-over-new-farmers-law-by-burning-tractors-in-front-of-india-gate/

শুধুমাত্র রাজ্য কমিটি নয় জেলাস্তরের বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠেছে। রবিবার দমদম, সোনারপুর এবং বসিরহাটে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়৷

রাজনৈতিক মহলের মতে, ২১ এর নির্বাচনের আগে সংগঠনকে সঠিক পথে চালনা করতে না পারলে এর ফল ভোগ করতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। মুকুল রায়, অনুপম হাজরার মত নেতারা কতটা দলের অন্দরের ক্ষত প্রবাহ রুখতে পারেন সেদিকে নজর থাকবে রাজ্যবাসীর। নাহলে ‘২১এ সাফ’-এর স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের৷

সম্পর্কিত পোস্ট