Pegasus Spyware: ফোন হ্যাকিং- র অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রীদের বিশেষ দলগঠন ইজরায়েলে

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: পেগাসাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক। এর মধ্যেই এবার নড়েচড়ে বসল ইজরায়েল সরকার। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে ফোন হ্যাকিং এর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রীদের বিশেষ দল গঠন করেছে সে দেশের সরকার।

ইজরাইলের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের নেতৃত্বে এই গোটা দলটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্ট দেওয়া হবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা দপ্তরেও।

গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্যারিসের আইন বিভাগও। বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়ল ম্যাকর। যদিও ভারতে সংসদের অধিবেশনে বিরোধীরা এই নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেও এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি মোদী সরকার।

পেগাসাস বিতর্কে উত্তাল গোটা বিশ্ব। ইজরায়েলি সংস্থাকে দিয়ে বিশ্বে ৫০ হাজারের বেশি ফোন ট্যাপিং এর অভিযোগ উঠেছিল। ১৮০ জন সাংবাদিকের ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। তালিকায় ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের কর্মীরাও।

সম্প্রতি এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান। জঙ্গী এবং অপরাধীদের ওপর নজরদারি চালাতেই মূলত ব্যবহার করা হয় পেগাসাস স্পাইওয়ার।

শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ, ৫ দিন বন্ধ দুর্গাপুর ব্যারেজ সেতুতে যান চলাচল

এর আগে পেগাসাস ব্যবহার করে মরক্কো থেকে ফোন হ্যাক করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ এনেছিলেন ২ সাংবাদিক। তাদের অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও ফোন হ্যাকিং এর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিল মরক্কো সরকার।

ভারতের বাদল অধিবেশন পেগাসাস বিতর্কে উত্তাল হয়েছে। সংসদে বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে তুমুল রয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বারংবার পেগাসাস ইস্যুকে সামনে রেখেই সংসদের উভয় কক্ষে বিরোধীদের বিক্ষোভে মুলতবি হয়েছে অধিবেশন।

এখানেই শেষ নয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন বিরোধীরা। পেগাসাস ইস্যুতে সমস্ত তথ্য প্রকাশ সহ ভারত সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছেন বিরোধীরা। যদিও সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মোদি সরকার।

সম্পর্কিত পোস্ট