নেতাজির কী হয়েছিল জানতে চায় মানুষ: মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাঙালি বরাবরই নেতাজি নিয়ে সংবেদনশীল। তাঁরা বিশ্বাস করেন তাইহোকু বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার মৃত্যু হয়নি তাঁর। মঙ্গলবার তাঁর তিরোধান দিবসেই নেতাজির মৃত্যু নিয়ে তরজা জারি ।
১৮ আগস্টের বিমান দুর্ঘটনার নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল এমন তথ্য বাংলার মানুষ মানেন না। তাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজও জীবিত বাঙালি তথা বহু দেশবাসীর কাছে।
অথচ এদিন সকাল থেকেই একের পর এক বিজেপি আর কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা কেউ ফেসবুক পোস্ট করে আবার কেউ ট্যুইট করে সুভাষের ‘মৃত্যুদিন’ পালনে উঠে পড়ে লাগে। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিতর্কের অংশীদার না হয়েও প্রশ্ন তোলেন বাঙালি জানতে চায়, ঠিক কী হয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর!
এদিন সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করে বিজেপি ও কংগ্রেস নেতানেত্রীদের নানা পোস্ট। সবকটিই নেতাজিকে নিয়ে। সবাই এক যোগে নেতাজির মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
অথচ এই দিনে তাইহোকু বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় যে নেতাজি মারা গিয়েছেন সেটাই এখনও প্রমাণিত হয়নি। সরকারি ভাবে আজও এই ঘটনা স্বীকার করা হয়নি। যেখানে কোনও তথ্য নেই, যেখানে একের পর এক এ ধরনের ট্যুইটে বিতর্ক তৈরি হয়।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সকালেই কংগ্রেসের দলীয় ট্যুইটার থেকে টুইট করে বলা হল, ‘নেতাজি একজন জাতীয় নায়ক। দেশের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা আজকের প্রজন্মের কাছে আদর্শ। তাঁর প্রয়াণ দিবসে আমরা আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।’
এবার থেকে বন্ধ থাকা ছয় রাজ্যেও যাবে কলকাতার বিমান
এরপর হার্দিক প্যাটেল থেকে শুরু করে কংগ্রেসের ছোট-বড় নেতারা নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট করা শুরু করলেন।
বিজেপি নেতারাও পিছিয়ে ছিলেন না। ‘প্রয়াণ দিবসে’ নেতাজিকে স্মরণ করলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক।
তিনি লিখলেন, ‘আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা, অদ্বিতীয় যোদ্ধা এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী সেনানি নেতাজিকে তাঁর পূণ্য তিথিতে কোটি কোটি প্রণাম।’ আবার বিজেপি নেত্রী তথা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে ট্যুইট করে লিখলেন তিনিও নেতাজির ‘মৃত্যুদিন’ পালন করলেন।
অর্থাৎ কংগ্রেস-বিজেপির এই দুই দলের নেতারাই একপ্রকার ঘোষণা করে দিলেন ১৮ আগস্টই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল। যদিও এই কথাটাই এখনও পার্যন্ত দৃঢ় কন্ঠে কেন্দ্র ঘোষণা করতে পারেনি।
তবে এইসব বিতর্ক থেকে দূরে গিয়ে বাঙালির মনের কথাই বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকালে ট্যুইট করে জননেত্রী জননেতাকে নিয়ে লেখেন, ‘১৯৪৫ সালের এই দিনেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে বিমানে উঠেছিলেন চিরকালের জন্য হারিয়ে যেতে। আমরা এখনও কেউ জানি না তাঁর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল। মানুষের কিন্তু জানার অধিকার আছে এই মহান ভূমিপুত্রকে নিয়ে।’