নিয়ন্ত্রণের বাইরে দেশ, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিতঃ মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে গদি ছাড়তে হবে, বিধানসভায় এই সুরেই মোদি সরকারকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই প্রস্তাবের সমর্থনে বলতে গিয়েই মমতা ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “দেশ আউট অফ কন্ট্রোল।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।” এর পাশাপাশি বাছাই শব্দে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রকে বলব, সুয়োমোটো করে এই বিলগুলো প্রত্যাহার করুন।এদিন কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, বাংলায় একটি ঘটনা ঘটলেই অমিত ভাই আছেন।

অথচ দিল্লিতে যে ঘটনা ঘটছে তা তো গোয়েন্দা ব্যর্থতা। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে যা হয়েছে, তাতে প্রমাণিত গোয়েন্দা দফতর ব্যর্থ। তাদের কাছে কোনও খবরই ছিল না। পুলিশও ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

মমতার মতে, ওই ঘটনার পিছনে এমন কেউ আছে, যার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। লালকেল্লা তাণ্ডব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটা দুটো ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু পুরো কৃষি আন্দোলনকে যে ভাবে তার জন্য সমালোচনা করা হচ্ছে তার নিন্দা করছি।” মুখ্যমন্ত্রীর সাফ দাবি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে।

৫ তারিখ রাজ্যে শুরু বাজেট অধিবেশন

প্রসঙ্গত আগেই কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিধানসভায় আইন পাশ করে বামশাসিত কেরল এবং কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব। কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে কৃষিআইন বিরোধী প্রস্তাব এবার পাশ হল রাজ্য বিধানসভাতেও। সকালে কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবকে ঘিরে বিধানসভা চত্বরে ধুন্ধুমার বাধে।

প্রায় হাতাহাতি লেগে যায় বাম ও বিজেপি-র মধ্যে। পরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পার্থের প্রস্তাব পাঠ শেষ হতেই বিজেপি- মনোজ টিগ্গা, দুলাল বর, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, আশিস বিশ্বাস, স্বাধীন সরকারেরা ওয়েলে নেমে তার বিরোধিতা করা শুরু করেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মাকে বলার জন্য অনুমতি দেন।

গাজিয়াবাদ বর্ডারে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আন্দোলনস্থল ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের

কিন্তু বিজেপি বিধায়কদের কোলাহলের চোটে সুখবিলাস বলতে চাননি। এর পর স্পিকার বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলতে শুরু করতেই বিজেপি বিধায়কেরা চিৎকার শুরু করেন। তৃণমূল বিধায়কেরা পাল্টা মমতাকে সমর্থন করে চিৎকার করতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী যদিও তাঁর ভাষণ থামাননি। বাম এবং কংগ্রেস বিধায়কদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘কৃষকদের স্বার্থে আসুন আমরা এই প্রস্তাব সমর্থন করি।’’

তিনি আরও বলেন, কর্পোরেট ঋণ মকুব হতে পারে, কৃষকদের ঋণও মকুব করতে হবে। আন্দোলনকারী কৃষকদের দেশদ্রোহী বললে মানব না, কৃষকদের দেশদ্রোহী বললে দেশ রুখে দাঁড়াবে।’মমতার কথায়, ‘‘যে কোনও মূল্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে বিজেপি সরকারকে গদি ছাড়তে হবে। কোনও ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’

সম্পর্কিত পোস্ট