তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, দাবি বিলীন হবে বিজেপি
দ্য কোয়ারি ওয়বেডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে তিনবার সরকার গড়ে বড় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। এবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ত্রিপুরার আসরে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের অন্যতম বাংলাভাষী রাজ্যে ‘খেলা হবে’ পর্ব। এতে প্রথম দিনেই বিজেপি ভাঙল। মমতা শিবিরে এলেন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তণ প্রদেশ সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক।
২০১৩ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে সুবলবাবু কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে পরাজিত হন। তারপরে প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেস নামে দল গড়েন। রাজনীতিতে কল্কে না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সুবলবাবু এবার পদ্মফুল পতাকা ছেড়ে ঘাসফুল পতাকা নিয়ে নিলেন।
গত বিধানসভার ভোটের আগে ত্রিপুরায় সাময়িক সময়ের জন্য টিএমসি হয়েছিল বিরোধী দল। তখনকার বিরোধী দল কংগ্রেস ছেড়ে বিরোধী বিধায়করা টিএমসি হয়েছিলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গে মমতার সঙ্গ ছেড়ে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিতেই ত্রিপুরায় মুছে যায় তৃণমূল। সেই সময়ে বিজেপিতে যোগ দেন সুবল ভৌমিক।
সুবল ভৌমিক ত্রিপুরা প্রদেশ শাখার সহ-সভাপতি এবং পরে সভাপতি হন। ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই দলের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় তাঁর। পছন্দের আসনে প্রার্থী হতে না পেরে রাজনীতি থকে সরে যেতে থাকেন। পরে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সোনামুড়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু পরাজিত হন। এরপরে বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে ফিরে আসেন সুবল ভৌমিক।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করেছিলেন তিনি। পরাজিত হওয়ারর পর নতুন করে লড়াই শুরু করেছিলেন তিনি।
মমতা সম্পর্কে কী লিখবেন অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা, CPIM জুড়ে উদ্বেগ প্রহর
আসন্ন পুর নির্বাচন ও আগামী বিধানসভা ভোট ঘিরে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা আগরতলায় সফর করছেন। টিএমসির ভোট কুশলী সংস্থা আইপ্যাক কর্মীদের আটক করা নিয়ে রাজনৈতিক হাওয়া গরম। এর মাঝে ডেরেক ও’ব্রায়েন, ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন সুবল ভৌমিক। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
সুবল ভৌমিকের সঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলর পান্না দে, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস, সহ আরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সুবল ভৌমিক বলেন, “আমি তো তৃণমূলেই ছিলাম।” তিনি আরও বলেছেন, “২০১৮ সালে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে ১০০ শতাংশ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বিজেপিকে এনে ভুল হয়েছে। ২০২৩ সালে একই উপায়ে পরিশ্রম করব।” ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।