বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও অবৈধ ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বারাসাত চাঁপাডালি মোড়ে অন্যায় ভাবে পুলিশি জোর জুলুম ও অবৈধ ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল ট্রাফিক পুলিশ ও রাস্তায় দায়িত্বরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে বারাসাতের চাঁপাডালি মোড় শুক্রবার সন্ধ্যেয় জনতার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে।

অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় রঞ্জিত দাস নামে বাইক আরোহীকে আটকায় পুলিশ। তার থেকে নিয়মভঙ্গের অপরাধে এক হাজার টাকা জরিমানা চাওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করেন রঞ্জিত বাবু। তাকে মারধর করা হয় প্রকাশ্যে। এর পরেই সাধারণ মানুষ ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদে সামিল হন।

পুলিশ আধ ঘন্টার মধ্যে বিক্ষোভকারীদের সরিয়েও দেয়। যার নিগ্রহ ঘিরে জনতা দীর্ঘদিনের জমিয়ে রাখা বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখায়, সেই রঞ্জিত দাস জানান অশোকনগর থেকে কলকাতায় ব্যবসার স্বার্থে যাওয়া আসা করেন তিনি। প্রায়শই পুলিশ জোর করে টাকা নেয়। রশিদ ও দেয় না।

শুক্রবার সন্ধ্যেবেলাও একই ভাবে তাকে আটকানো হয়। হেলমেট ও  বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও এক হাজার টাকা পুলিশ চায়। তিনি কারণ জানতে চাইলে ট্রাফিকে দায়িত্বরত জনৈক পুলিশ আধিকারিক তাকে গলা টিপে নিগ্রহ করে বলে তিনি জানান।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-nurse-sleep-whole-night-newborn-baby-dying-without-treatment/

অতঃপর বিক্ষোভরত জনতার অনেকেই জানান তাঁদের অভিজ্ঞতাও একইরকম। এদিন ধৈর্য্যর বাঁধ ভাঙায় তারা সমবেত বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। প্রসঙ্গত, জোর করে জনগণের থেকে পুলিশের টাকা আদায়ের অভিযোগ নতুন কোনো ঘটনা নয়।

এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, শুধু বারাসাতের চাঁপাডালি মোড় কেন, ডাকবাংলো মোড়ে এই ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সেখানে ছোট-মাঝারী মালবাহী গাড়ি দেখলেই তাদের আটকে টাকা তোলে পুলিশ। ফলে কলোনীমোড় থেকে ডাকবাংলো পর্যন্ত নিত্যদিন চরম যানজটের শিকার হতে হয় পথচলতি মানুষদের। ছোট গাড়ি বা বাইকগুলিকে অনেকসময় বিনা কারণে কেস দেওয়া হয়।

কবে পুলিশের এই যন্ত্রনার হাত থেকে মুক্তি মিলবে? এদিন এই প্রশ্নও তুলে দেন ওই ব্যক্তি।

সম্পর্কিত পোস্ট