মধ্যরাতে জোর করে চাকরী প্রার্থীদের হঠানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে,

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবিলম্বে আপার প্রাইমারিতে সফল প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন চাকরী প্রার্থীদের একাংশ। একদিকে সফল প্রার্থীদের আন্দোলন ও অন্যদিকে মেধা তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উচ্চপ্রাথমিকক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় নিঃসন্দেহে বেকায়দায় পড়েছে শাসকদল।

সূত্রের খবর, বুধবার রাতে আন্দোলনরত চাকরীপ্রার্থীদের জোর করে এলাকা থেক হঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে তারা শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান।

এক চাকরীপ্রার্থীর কথায়, এখনও উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি সরকার। দ্রুত তা যাতে শুরু করা হয় এরই দাবিতে মঙ্গলবার সল্টলেক করুণাময়ীতে জমায়েত হন কয়েকশো চাকরি প্রার্থী।

তাদের অভিযোগ, বুধবার রাতে সেখানেই পুলিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন জমায়েতকারীরা। আটক করা হয় কয়েকজনকে। জটিল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

চাকরী প্রার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ২০১৪ তে নোটিফিকেশন, ২০১৫ তে পরীক্ষা, ২০১৬ তে ফল। সবমিলিয়ে ৭ বছর। নিয়োগ নেই।।ওরা আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থী। ওদের দাবি সঙ্গত।।

এই বিষয়ে বাম নেতা সরাসরি সরকারের অপদার্থতাকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, চোখ রাঙানো বন্ধ করে মিথ্যা বলা বন্ধ করে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করুক সরকার।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/dilip-ghoshs-meeting-place-is-a-huge-public-meeting-mamata-why-jyotipriya-lost-her-temper-in-answer-to-the-question/

উল্লেখ্য, দ্রুত নিয়োগের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার এসএসসি অফিসের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করে ‘আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ’। এর আগেও তারা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছেন।

তবে শিক্ষামন্ত্রী সমস্যার সমাধান করেননি বলে জানান চাকরীপ্রার্থীরা। তাদের কথায়, শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন মামলা চলছে বলে এখন কিছু করা যাচ্ছে না।

চাকরী প্রার্থীদোর দাবি, রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিলে সংকট কেটে যেত। কিন্তু রাজ্য কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। এতদিন হয়ে গেলেও নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার।

আক্ষেপ জানিয়ে চাকরীপ্রার্থীদের একাংশ বলেন,  তারা চাকরি চান। আন্দোলন করতে তারা চান না। কিন্তু একপ্রকার বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নামতে হয়েছে তাদের।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভ দেখানোর পর তারা ফিরে যান। তবে যাওয়ার আগে তারা হুঁশিয়ারী দিয়ে জানান, অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে আরও বড় আন্দোলনে নামা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট