“পিছনের দরজা দিয়ে পলিটিক্যাল রিজেক্টদের আনা হবে”, বিধান পরিষদ নিয়ে মত শুভেন্দুর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে বিধানসভায় বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ হলো। আজ ভোটাভুটিতে এই প্রস্তাব পাস হয় অংশ নেন ২৬৫ জন বিধায়ক। এদের মধ্যে বিধান পরিষদ গঠনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৬ জন। ৬৯ জন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন।

যারা বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন সেই ৬৯ জনের মধ্যে ৬৮ জন বিজেপির বিধায়ক। একজন নির্দল। এরপর এই প্রস্তাব যাবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল অনুমোদন দিলে সেই প্রস্তাব যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। রাজ্যসভায় পাস করা হবে তারপর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হবে। তবেই বিধান পরিষদ গঠন করতে পারবে রাজ্য সরকার।

বিধানপরিষদ গঠনের জন্য রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছিল বিধানসভায়। সেই আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি নেননি। অংশ নেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। আলোচনার প্রাথমিক পর্বে বিধান পরিষদ গঠনের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি বলেন, বিধান পরিষদ গঠন মানে ঋণে জর্জর রাজ্যের ওপর আর্থিক ভাবে চাপ বাড়বে। তাঁর আশঙ্কা শাসক দল নিজেদের লোকেদের জায়গা করে দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে বিজেপির প্রবল বিরোধীতা সত্ত্বেও বিধানসভায় পাশ বিধান পরিষদ প্রস্তাব

শুভেন্দু বলেন, “লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর অনুমোদন দেবে রাষ্ট্রপতি। কাজেই এখানে সংখ্যার জোরে পাশ করানোর কোন অর্থ নেই। বিধান পরিষদ আর্থিক ভাবে চাপ বাড়াবে। আমাদের দলের অবস্থান আমরা বিধান পরিষদের বিরুদ্ধে। আমাদের আশঙ্কা নিজেদের লোকেদের জায়গা করে দিতে এই উদ্যোগ।”

সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি নওসাদ সিদ্দিকিও একই সুরে বিধান পরিষদ পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা,অম্বিকা রায়, তাপসী মন্ডল প্রমুখও ভাষণ দেন।কিন্তু বিজেপি এই সিদ্ধান্তের জোর গলায় বিরোধিতা করায় এই প্রস্তাবের রূপায়ণ আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট