মাদক পাচারের মামলায় পরীমণির জেল, ঢাকা-টলিপাড়ায় ছড়াল ভয়, এবার কী…!
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: মাদক মামলায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির জেলের সাজা হলো। তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ইয়াবা বড়ি রাখা ও পাচারের পাশাপাশি বিকৃত যৌনাচার ও ব্ল্যাকমেলিং করার অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে রায় শুনে প্রবল কান্নাকাটি জুড়ে দেন পরীমণি। তাঁর অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
পরীমণির বিরুদ্ধে যে বিকৃত যৌনচার ও ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ রয়েছে তাতে জড়িত আরও কয়েকজন বাংলাদেশি মডেল অভিনেত্রী। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মডেল অভিনেত্রীদের গ্রেফতারের ঘটনায় ১৫টি মামলা দানের করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৪টি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। পরীমণিসহ গ্রেফতার হওয়া ৮ জনের ব্যাংক হিসেবর তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মডেল-অভিনেত্রীদের ব্যবহার করা ছয়টি দামি গাড়ি নিয়েও তদন্ত চলছে।
পরীমণি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়। তাঁর সঙ্গে মাদক পাচারের যোগ পাওয়ার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে বেশকিছু প্রভাবশালীর নাম। সন্দেহ করা হচ্ছে কলকাতায় একাধিক টলিউড শিল্পী কুশলীর সঙ্গে পরীমণির গোপন কারবারের যোগাযোগ রয়েছে।
পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগ পেয়ে গত ৪ আগস্ট রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীতে অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ঢাকা পুলিশ ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব।
ঢাকায় পরীমণির ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস পরীমণিকে জেলের সাজা দেন।
এর আগে গত ১৩ জুন পরীমণি সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন তাঁকে ঢাকার উত্তরা বোটক্লাবে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় প্রভাবশালী নাসির উদ্দিন জড়িত। নাসির উদ্দিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী।
পরিমণির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ নাসির উদ্দিন কে গ্রেফতার করে। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে মানহানির মামলা দায়ের করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। তাৎপর্যপূর্ণ, ওই ব্যবসায়ী জামিন পাওয়ার পর পুরো মামলা মোড় নেয়। পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগে তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি হয়।
তল্লাশির সময় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মাদক সহ বেআইনিভাবে মজুত মদ, বৈদেশিক মূদ্রা, বিকৃত যৌনাচারের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঢাকা থেকে সেই আলোড়ন এসে পৌঁছায় কলকাতার টলিউড মহলে। কারণ, বাংলাদেশি পরীমণির সঙ্গে টলিউডের বিরাট সম্পর্ক। টলিপাড়ায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে, পরীমণিরর বিরুদ্ধে যে যৌন ব্যবসা, ব্ল্যাকমেলিং ও মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাতে টলিউডের কয়েকজন জড়িত।