হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হুঙ্কার বঙ্গ তনয়ার
হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হুঙ্কার বঙ্গ তনয়ার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গতকাল রাতের ঘটনা। দুষ্কৃতীদের আঘাতে মাথা ফাটে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে মাথায় ১৬ থেকে ১৭ টা সেলাই করতে হয়। পাশাপাশি হাতেও চোট পান তিনি।
কিন্তু তাতেও দমিয়ে রাখা যায়নি বঙ্গ কন্যাকে। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরেই উপস্থিত হন আন্দোলন মঞ্চে। সেখানে বিজেপি এবং আরএসএস এর ওপর তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
রবিবার শিক্ষক এবং ছাত্রদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছে, তার জবাব বিতর্ক এবং আলোচনার মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গণতান্ত্রিক পথকেই বেছে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ রক্তাক্ত জেএনইউ , দায় নেবে কে?
এদিন প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে ঐশী বলেন, খুন করার উদ্দেশ্যে পুর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। রবিবার যে ঘটনা ঘটেছে এর পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের ইন্ধন ছিল বলে মনে করছেন তিনি।
Jawaharlal Nehru University Student Union (JNUSU) President Aishe Ghosh: Every iron rod used against the students will be given back by debate and discussion. JNU’s culture will not be eroded anytime soon. JNU will uphold its democratic culture. pic.twitter.com/Jtqa4UhaNo
— ANI (@ANI) January 6, 2020
পাশাপাশি ঐশীর অভিযোগ, বেশকিছু ধরেই সঙ্ঘ পরিবারের কিছু অধ্যাপক তাঁদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রবিবারের হামলার পিছনে তাঁদেরও মদত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ছাত্রদের তরফে অভিযোগ, রবিবার রাত সাতটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত আলো বন্ধ করে সবরমতী হোস্টেলে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে হামলা চালায় ৫০ থেকে ৭০ জনের গুন্ডাবাহিনী।
শেষ অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের ঘায়ে আহত হন ৩৪ জন। যার মধ্যে কিছু শিক্ষকও রয়েছেন। গুরুতর আহত হন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেনও। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর জখম হন দুই পড়ুয়া।
গত তিন মাস ধরে হোস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে অনড় ছিল জেএনইউয়ের পড়ুয়ারা। শনিবার বাম ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের বাদানুবাদে ঘটনার সুত্রপাত। রবিবার সেই বিবাদ বড়সড় আকারে পরিণত হয়।
রবিবার জেএনইউয়ের পুরো বিষয়টি জানার জন্য পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়কের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনার পূর্ণ তদন্তের জন্য উপরাজ্যপালকে সক্রিয় ভুমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনকি তদন্তের জন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।