নির্বাচনের আগেই পদুচেরিতে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একাধিক বিধায়কের ইস্তফার পর ভেঙে যায় পদুচেরির কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীর সরকার ভেঙে যাওয়ার পরেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হল পদুচেরিতে।
আর কিছু মাস পরেই নির্বাচন রয়েছে পদুচেরিতে। সেই কথা মাথায় রেখেই সরকার গঠনের দাবী জানালো না বিজেপি এবং শরীক দলগুলি।
চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছিলেন, নারায়ণস্বামী মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার পর আর কেউই সরকার গঠনের দাবী না করলে সেখানে উপরাজ্যপালের প্রস্তাব মেনেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে।
চলতি মাসেই ছয় বিধায়কের ইস্তফার পরেই সরকার ধরে রাখতে অক্ষম হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী। এর মধ্যে ৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক এবং ১ জন ডিএমকে। ২৬ জনের সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভার ৬ জন ইস্তফা দেওয়ার পরেই ইস্তফা দেন তিনি।
৫ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ২ জন বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বাকি চারজন বিধায়কও বিজেপিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে রেখেছেন। এমনটাই সূত্রের খবর।
সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য বিজেপি এবং তাঁর শরিক দলগুলির দিকে আঙুল তুলেছেন নারায়ণস্বামী। একইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে সমান্তরাল সরকার চালাতেন উপরাজ্যপাল কিরণ বেদী।
আরও পড়ুনঃ “চলো ব্রিগেড চলো”, ফ্ল্যাশ মব এবং গানের সুরে ব্রিগেডের অভিনব প্রস্তুতি
সরকারের টলমল অবস্থার মধ্যেই উপরাজ্যপাল পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় কিরণ বেদীকে। অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় ডঃ তামিলিসাই সৌন্দরারাজনকে।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিশেষ নজর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং পদুচেরির দিকে। নির্বাচনের জন্য আর বাকি মাত্র তিন মাস। নির্বাচনী প্রচারে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। মানুষের জনমত পেয়ে কি ফিরে আসবে কংগ্রেস। নাকি ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি এবং এন আর কংগ্রেস? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।