চা বাগানে পাতা তুলছেন প্রিয়াঙ্কা, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কংগ্রেস নেত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি নির্বাচনী উত্তাপে গা ঘামাচ্ছে পড়শি রাজ্য অসম। লড়াই সরাসরি বিজেপি জোট বনাম কংগ্রেসের জোট। তিন দফার নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মিশে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পিঠে চা পাতার ঝুড়ি, মাথায় আটকানো সেটা, পড়নে শাড়ি। বছর ৪৯ এর এই রাজনীতিবীদ চা পাতা তোলা শিখছেন অসমের বিশ্বনাথের সাধুরু চা বাগানের শ্রমিকদের কাছ থেকে। কখনও পা দুলিয়ে নিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে।

নিজের টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, চা বাগানের শ্রমিকরা ভীষণ সরল। খুবই সাধারণ জীবনযাপন করেন এরা। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য এদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কথা বলে তাঁদের কাজ এবং পরিবার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি তা কখনও ভোলার নয়।

এদিন এএনআই প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায় শ্রমিকদের থেকে চা পাতা তোলার প্রক্রিয়া শিখে নিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। এর আগে সোমবার লক্ষীপুরে মহিলাদের সঙ্গে ঝুমুর নৃত্যে পা মেলান তিনি।

করোনা সংক্রান্ত দস্তাবেজে প্রধানমন্ত্রীর ছবি নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল

২৭ শে মার্চ থেকে তিন দফায় শুরু হতে চলেছে অসম বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে দু’দিনের সফরে উপস্থিত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। একেবারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাঁদের একাধিক অভাব অভিযোগের কথা শুনছেন তিনি।

চলতি বছরের বাজেটে কেন্দ্রও সরকারের তরফে অসম এবং বাংলার চা শ্রমিকদের জন্য আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি কিছুদিন আগেই অসমের চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে সর্বানন্দ সনোয়াল।

প্রায় ৬০ লক্ষ অসমের মানুষের জীবিকা নির্ভর করে চা বাগানের ওপর। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরাই আসল ভোটব্যাঙ্ক। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ভোট কংগ্রেস থেকে সরে গিয়ে বিজেপিতে পড়েছে। যার কারণে এবার মাঠে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।

ক্ষমতায় আসলে চা শ্রমিকদের মজুরী ৩৬৫ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এমত অবস্থায় ১২৬ টি আসনের মধ্যে ৩৫ টিতে চা শ্রমিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। হাওয়া বদলে তবে কি চা শ্রমিকরা কংগ্রেসকে বেছে নেবেন? প্রশ্নও উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

একইসঙ্গে এনআরসি ইস্যুতেও ব্যাকফুটে যেতে পারে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এনআরসি ডিসঅ্যাডভান্টেজের জন্য বিরাট অংশের ভোট কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটেই পড়বে। এখন দেখার তিন দফার নির্বাচনে কাকে বেছে নেয় মানুষ?

সম্পর্কিত পোস্ট