দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় জনস্বার্থ মামলার শুনানি সোমবার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া জনস্বার্থ মামলাগুলির শুনানি হতে পারে সোমবার। দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত বুধবার দুটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার একই বিষয়ে আরো একটি মামলা হয় হাইকোর্টে। ‌ সরকারি অনুদানের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করে এই মামলাটি করা হয়।

নিম্নচাপের জেরে কিছুটা মিটেছে জলের ঘাটতি, কৃষিকাজে বিপুল উন্নতির সম্ভাবনা

আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে কেন পুজোয় অনুদান দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃতীয় মামলাটি হয়েছে। আগামীকাল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই তিনটি মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উদযাপনে পয়লা সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে প্রস্তাবিত শোভাযাত্রাকে প্রকৃত অর্থে বর্ণময় করে তুলতে চায় রাজ্য সরকার। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা প্রাপক, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলা এবং স্কুল পড়ুয়াদেরও সামিল করা হবে শোভাযাত্রায় ।

রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি সচিব শান্তনু বসু এই শোভায়াত্রার প্রস্তুত নিয়ে সব জেলার জেলা শাসকদের এক গাইড লাইন পাঠিয়েছেন। ১৭ দফা সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর সর্বাধিক দেড়হাজার পড়ুয়াকে মিছিলে শামিল করা যাবে। স্কুলের পোশাকেই তারা শোভাযাত্রায় শামিল হবেন।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও থাকবেন মিছিলে। জেলার ১০০ জন লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পী এই পদযাত্রায় থাকতে পারবেন। পদযাত্রায় থিম সংতো থাকছেই, পাশাপাশি ব্র্যান্ডিংয়েও বিশেষ নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিকদের হোর্ডিং, লোগো পাঠানো হবে নবান্ন থেকেই।

এদের প্রত্যেকের জন্য ন্যূনতম দু’বার টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। পদযাত্রায় অংশ নেওয়া অন্য সংগঠনগুলিকে নিজেদের সদস্যদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা রঙিন ছাতা নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কালো রঙের ছাতা পদযাত্রায় ব্যবহার করা যাবে না।

জেলা শহরের কোথায় মিছিল হবে, কারা মিছিলে অংশগ্রহণ করবেন তা নিয়েও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, জেলা শহরে কোথায় মিছিল হবে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলে সেই সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।

জেলাশহরের সব দুর্গাপুজো কমিটিগুলির পাশাপাশি জেলা শহর সংলগ্ন এলাকার বড় পুজোকমিটিগুলিকেও এই পদযাত্রায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। ইউনেস্কোর স্বীকৃতির সম্মানে এই মিছিলকে আরও বর্ণময় করে তুলতে পুজো কমিটিগুলি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারবে।

সম্পর্কিত পোস্ট