ভোটের কথা মাথায় রেখে পুজো অনুদান! অভিযোগ বিরোধীদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুর্গাপুজোয় সরকারি কোষাগার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একযোগে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে।
তাঁদের অভিযোগ ভোট রাজনীতির কথা মাথায় রেখে এই অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ হল পাইয়ে দেওয়ার, খুশি করার রাজনীতি। সবটাই ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিরোধীদের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলা হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না তৃণমূল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সবাই সমান।
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার নিজের উৎমসব সবার। আদালতের রায়ের বিরোধিতা না করলেও এদিন তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে। সরকার অনুদান রাজনৈতিক দলকে দেয় না। ক্লাবগুলি কোনও রাজনৈতিক দল নয়।
প্রদেশ কংগ্রেস সাভাপতি ক্লাবগুলিকে অনুদানের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, বিজেপির থেকেও মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বেশি হিন্দুত্ববাদী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।
তাঁর মতে, সমাজে বহু উত্সতব রয়েছে, শুধুমাত্র হিন্দুদের নয় সমস্ত ধর্ম সম্প্রদায়ের উত্সসব আছে। তবে রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশ যেখানে ধর্ম নিরপেক্ষ সেখানে কোনও একটি উত্সনবের জন্য এভাবে টাকা দেওয়া যায় কি?
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীয় এই রায়ের পর রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আর তাঁর আমলাদের কথা মিলছে না। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকেই ভুল প্রমাণ করছেন তাঁর আমলারা। এ নিয়ে কী বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। কাকে বোকা বানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/what-the-chief-minister-announced-at-the-time-of-payment-does-not-match-the-statement-of-notification-high-court/
এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, রাজ্যে শুধুই তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে। আমরা আগেও ইমাম, মোয়াজ্জেনদের ভাতার বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলাম, তখন সরকার বলেছে-ভাতা দিচ্ছে ওয়াকফ বোর্ড।
একইভাবে দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রেও সে ভাবেই বলা হল। দিলীপ ঘোষের মতে, এসব হল তৃণমূলের ভোট পাওয়ার জন্য খুশি করার রাজনীতি।
এদিন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বিরোধীদের এইসব বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে না তৃণমূল।
এ দিন হাইকোর্টের রায়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, আদালতের রায় নিয়ে আমাদের বিরোধিতার কিছু নেই। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে বাংলার মানুষ দুঃজিত হবেন। তিনি আরও বলেন, ক্লাবগুলি রাজনৈতিক দল নয়। পুজো রাজনৈতিক দল করে না। স্থানীয় সংগঠন পুজো করে। অর্থাৎ পুজোয় টাকা দেওয়া কোনও রাজনৈতিক দলেকে টাকা দেওয়া নয়।