ভোটের আগে পাঞ্জাবে আলোচনার ‘কেন্দ্রে’ কেজরিওয়ালের দিল্লি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর দু’মাসের মধ্যে পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে রাজ্যে রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে থাকার কথা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চরঞ্জিৎ সিং চন্নির মুখে বারবার শোনা যাচ্ছে দিল্লির কথা।
তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সে রাজ্যের আঞ্চলিক দল অকালিকে পিছনে ফেলে প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে আসে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। আর এবারের বিধানসভা ভোটের আগে যে সমস্ত সমীক্ষা হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের জন্য কংগ্রেস ও আপের মধ্যে জোর টক্কর চলবে। কিছু কিছু সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে ফটো ফিনিশে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করে ফেলতে পারে কেজরিওয়ালের আপ!
এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবে বারবার আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দিল্লির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থার মডেল পাঞ্জাবেও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই অবস্থায় চুপ করে থাকেননি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে নিশানা করেছেন কেজরিওয়ালের প্রতিশ্রুত দিল্লির স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে।
চন্নির দাবি করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লিতে গড়ে তোলা কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পরেছে। এই নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। এমনকি করোনার প্রথম দুটো ঢেউয়ে দিল্লির অবস্থা যখন ভয়াবহ হয়েছিল তখন চিকিৎসা পেতে সেখানকার হাজারে হাজারে মানুষ পাঞ্জাবে এসেছিলেন বলে তিনি দাবি করেন।
সিলভেরলাইন কি কেরলের নন্দীগ্রাম হবে? দলের সতর্ক বার্তা বিজয়নকে
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে তা মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত পাঞ্জাব। অক্সিজেন সহ স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতিটি ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ অবস্থায় আছে বলে তিনি দাবি করেন।
কেজরিওয়ালকে কটাক্ষ করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মিস্টার কেজরিওয়াল দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মডেল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার অসারতার কথা পাঞ্জাবের মানুষ ভালো মতো বোঝে। এখানে তাঁর ওইসব প্রতিশ্রুতিতে আলাদা কোনও কাজ হবে না।”
ঘটনা হল করোনার প্রথম দুটো ঢেউয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিল্লিতে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনেকাংশেই ঠিক। কিন্তু সামনেই বিধানসভা ভোট থাকায় বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকেই কেজরিওয়াল ও দিল্লির স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।