পাঞ্জাব নির্ভরতা কাটিয়ে আলুর বীজ উৎপাদনে ক্রমশ স্বনির্ভর হচ্ছে রাজ্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আলুর বীজ উৎপাদনে ক্রমশ স্বনির্ভর হচ্ছে রাজ্য। আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে পাঞ্জাব নির্ভরতা কাটিয়ে উন্নত মানের আলুর বীজ উৎপাদনে রাজ্য সম্পুর্নভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় কৃষি বাজেটের ওপর আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে তিনি বলেন “২০২১ সাল থেকে টিস্যু কালচার করে এখানকার উৎপাদিত আলু বীজ দিয়ে চাষ শুরু হয়েছে পরীক্ষা মূলক ভাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে আর অন্য রাজ্য থেকে আলু বীজ আনতে হবে না আমাদের রাজ্যকে”।
পাশাপাশি ধান, তৈল বীজ, ফল তিলের উন্নত ফলনশীল বীজ তৈরি করতে রাজ্যের সাফল্য পেয়েছে বলে তিনি জানান। কৃষি মন্ত্রী জানান ঝাড়খন্ড,বিহার, উড়িষ্যার মত প্রতিবেশী রাজ্যে এখানে তৈরি উন্নত মানের ধানের বীজ রপ্তানি করা হয়েছে।
কেন্দ্রের কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে বঞ্চিত রাজ্যের কৃষকরা, বিধানসভায় তথ্যপেশ কৃষিমন্ত্রীর
পশ্চিমবঙ্গের আলু চাষ মূলত পঞ্জাবের বীজ নির্ভর। রাজ্যে যে পরিমাণ আলুর বীজ ব্যবহার হয় তার প্রায় সবটাই আসে পঞ্জাব থেকে। আর এই আলুর বীজ নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ বহুদিনের। এই ছবিটাই এবার বদলাতে চাইছে রাজ্যের কৃষি দফতর। এবার রাজ্যের কৃষি দফতরই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
- প্রতি বছরই আলু বীজের দাম বেড়ে চলেছে।
- গত বছর আলু বীজের ৫০ কেজির বস্তার দাম ছিল আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা।
- এবার সেটা কিনতে হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়।
- এক বিঘা জমিতে চাষ করতে লাগে এমন ৩ বস্তা আলু।
- বীজের দাম বাড়ায় চাষের খরচও এক ধাক্কায় বিঘা প্রতি প্রায় ৩০ হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
- কিন্তু প্রতি বছর খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও কৃষকরা লাভ কতটা পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই।
- কৃষকদের লাভ নিশ্চিত করতে তাই বীজের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষিক্ষেত্রে রাজ্যের বাজেট ১৩ গুণ বেড়েছে। কৃষক বন্ধু সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন রাজ্যের কৃষকেরা। যার ফলস্বরূপ যেখানে দেশজুড়ে কৃষকরা অনাহার-অর্ধাহারের সম্মুখিন সেখানে এ রাজ্যে একটিও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি।