মিহির-রবি বৈঠকে ঘুচল না শীতলতা !
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য রাজনীতিতে চলছে মানভঞ্জন পর্ব। কলকাতা থেকে শুরু করে মেদিনীপুর এবং কোচবিহার, দল নির্বিশেষে চলছে এই কাজ। ২১ এর আগে মানভঞ্জন পর্ব মিটিয়ে জমি উদ্ধারে তৎপর ঘাসদুল এবং পদ্মফুল।
মঙ্গলবার, কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দেখা করতে যান কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে। যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে দু’পক্ষের বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে কেউই মুখ খুলতে চাননি। বিদ্রোহী বিধাক মিহির বাবুর কথায়, রবির সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অনেক সুখ-দুঃখের কথা হয়েছে। আমাদের সামাজিক সম্পর্ক আগের থেকে অনেক মজবুত হয়েছে। আগামীতে সামাজিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার চেষ্টা করব।
তাহলে কী রাজনৈতিক সম্পর্কের শীতলতা কাটেনি? মিহির বাবুর স্পষ্ট কথা, আমি যা বলি সেখান থেকে সরে আসি না।সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি এখনো। সিদ্ধান্ত নিলেই জানিয়ে দেব। তবে মধ্যে থেকে যে মতবিরোধ অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল তা বারবার প্রকাশ্যে আনছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সৌগতের সঙ্গে বৈঠকের পরেও বিনা দলীয় ব্যানারে মিছিল করলেন শুভেন্দু
তবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য করেননি। তাঁর কথায় এই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ সামাজিক ও অরাজনৈতিক। বিজয়া ও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে আগেও এসেছিলাম। সেদিন উনি ছিলেন না। আজ দেখা হল। তবে মান ভাঙিয়ে দলের ফেরার জন্য পুরানো সতীর্থকে আহ্বান জানিয়েছেন রবিবাবু।
একুশে নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই । সময় থাকতে থাকতে এখনই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়তি নজর দেওয়া উচিত উত্তরবঙ্গের প্রতি। ঠিক যেমনটা ক্ষমতায় আসার পর তিনি দিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে দলের ১৯ নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর পুরানো জমি ফিরে পেতে নির্বাচনী স্ট্রাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু আইপ্যাক সংস্থা যে ভাবে কাজ করছে তাতে দলের একাধিক বিধায়করা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলা। না হলে দলের মধ্যে যে ফাটল তৈরি হয়েছে তা বন্ধ করা সম্ভব হবে না।