দুর্ঘটনাগ্রস্থ রেললাইন পায়ে হেটে খতিয়ে দেখলেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ময়নাগুড়ির দোমহনির ট্রেন দুর্ঘটনায় হাহাকার ক্রমশ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতে সরকারিভাবে ৬ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও শুক্রবার সকালে সেই সংখ্যাটা এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়ে ৯ জনে ঠেকেছে। আরও ৬-৭ জন ট্রেন যাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও ময়নাগুড়ি হাসপাতালে আরও জানা পঞ্চাশ যাত্রীর চিকিৎসা চলছে বলে খবর। আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দুর্ঘটনার পর প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই রেল ও রাজ্য প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। তবে ভোরের আলো ফুটতেই ফের কোমর বেঁধে নেমে পড়েন উদ্ধারকারীরা।

এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত সবকটি বগির ভিতরে পৌঁছতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। তাই আর‌ও কিছু যাত্রী ভিতরে আটকে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়নি।

অভিষেকের রাজনৈতিক দক্ষতায় প্রশ্ন, ঘুরপথে দলের অসম্মান; ‘রাজীব’ জ্বরে কাবু দুঁদে কল্যাণ

এদিকে শুক্রবার সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। আগের দিনের ঘোষণা মতো দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই মুহূর্ত উদ্ধার কাজকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে স্পষ্ট জানান রেলমন্ত্রী।

রেল সূত্রে খবর রেলওয়ে সেফটি কমিশনার দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছনোর পরই সরকারিভাবে দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ জানানো হবে। তার আগে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এক প্রকার মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেল কর্তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট