একটানা বৃষ্টি, জলমগ্ন দিল্লি ও গুরুগ্রামের একাধিক এলাকা
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: একটানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি দেশের একাধিক রাজ্যে।
বৃহস্পতিবার ভারি বর্ষণের কারণে জলমগ্ন দিল্লি এবং গুরুগ্রামের একাধিক এলাকা।
একটানা বৃষ্টির জেরে বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরপ্রদেশের ১৩ টি জেলার ৮৭৫ টি গ্রাম।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে ওড়িশার একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরে একটানা বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ধস দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জম্মু-শ্রীনগরের ২৭০ কিলোমিটারের ন্যশনাল হাইওয়ে।
২৪ ঘন্টা বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাজধানী দিল্লির একাধিক রাস্তা। অনেকের বাড়ি ধসে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই সময় দিল্লিতে বৃষ্টির পরিমাণ হয় ১১.৩ মিমি। আয়ানগর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লিতে গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার অবধি ১২২.৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১১ গুণ বেশী।
দিল্লির সফদরজংয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লি শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫৪.৮ মিমি। পলম, লোধি রোড এবং রিজের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথাক্রমে ৮৯.১ মিমি, ৬২.৪ মিমি এবং ৭৭.৩ মিমি।
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এতটাই বেশী যে ১৫ মিমি এর কম বৃষ্টিপাতকে হাল্কা, ১৫ থেকে ৬৪.৫ মিমি অবধি মাঝারি এবং তার চেয়ে বেশী বৃষ্টিপাতকে ভারী বৃষ্টিপাত হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার অবধি দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে বৃষ্টিপাত চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবীদরা।
ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে গুরুগ্রামের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে নদীর আকার ধারন করেছে। কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে দিল্লির একাধিক এলাকা।
রিপোর্ট অনুযায়ী পুর্ব রাজস্থান, গোয়া, ওড়িশ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, তেলেঙ্গানা সহ অসম এবং মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মুলত ওড়িশ্যা, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং গুজরাতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে।
অন্যদিকে, একটানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন উত্তরপ্রদেশের ১৬ টি জেলা। যার মধ্যে ৫৭৮ টি গ্রামের অবস্থা সংকটজনক।
বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে সারদা, রাপ্তি এবং ঘাগড়া নদীর জল। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে ত্রান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিলিফ কমিশনার সঞ্জয় গোয়েল।
ওড়িশ্যার ময়ুরভঞ্জ জেলার জামভিরা নদীর গোলমুহান ঘাটে জলের তোড়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই ব্যক্তি। একটা বৃষ্টির জেরে পুরী, বালাসোর, কালাহান্ডি এবং কন্ধমাল জেলার একাধিক নদীর জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে।
গত ২৪ ঘন্টায় নবরংপুর জেলার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩০.৬ মিমি। রাজধানী কটকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১১৭.২ মিমি।
রাজ্যের মন্ত্রী সুদাম মারান্ডি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।
লাগাতার ভারী বর্ষণের জেরে জলমগ্ন বিহারের ১৬ টি জেলা। অধিকাংশ নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে রাস্তাঘাট এবং নদীর পাড়।
উত্তর বিহারের জেলাগুলিতে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন।