‘সব বেচে দে’ গেঞ্জি পরে অভিনব প্রতিবাদ রাজারহাটের তৃণমূল যুব সভাপতি আফতাব উদ্দিনের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রায় প্রতিদিনই ইকোপার্কে নিয়ম করে যোগাভ্যাস করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে বুধবারের প্রাতঃভ্রমনে তাঁকে যে এমন কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হতে পারে তা বোধহয় নিজেও ভাবতে পারেননি।

ইকোপার্কের আইফেল টাওয়ারের কাছে প্রতিদিনের মতো দিলীপ ঘোষ যোগাভ্যাস করছিলেন। ঠিক সেই সময় কিছুটা দূরে রাজারহাট-নিউটাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আফতাব উদ্দিন জনা তিরিশ কর্মী নিয়ে ‘সব বেচে দে’ গেঞ্জি পরে অভিনব কায়দায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান।

তৃণমূল কর্মীরা মুখে কিছু না বললেও তাদের ‘সব বেচে দে’ লেখা গেঞ্জিতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, রেল, বিমান পরিষেবা সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরনের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজারহাট- নিউটাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীরা।

এবিষয়ে মহম্মদ আফতাব উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন, “আমরা রাজারহাট নিউটাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীরা প্রতিদিন ইকোপার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্র্যাকটিস করতে আসি। আগেও আসতাম আজও এসেছি। মাঝখানে কিছুদিন আসিনি। এটা আমাদের নিজেদের জায়গা, নিজেদের পাড়া।’

সবাই এক রকম লেখা গেঞ্জি পরে এসেছেন কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন , “ভারতবর্ষের সরকার বেচুরাম সরকারে পরিণত হয়েছে। ভারতবর্ষের সমস্ত লাভজনক সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে । তার বিরুদ্ধে একটা টোকেন প্রতিবাদ করতে রাজারহাট- নিউটাউনের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীদের দু হাজার গেঞ্জি তুলে দিয়েছিলাম। এটা পড়েই আমরা প্রতিবাদে শামিল হলাম। ”

স্বাভাবিক ভাবেই এই ধরণের অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ কর্মসূচী নজর কেড়েছে সকলেরই। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shilbhadra-dutta-the-team-that-failed-in-manbhanjan-is-adamant-in-its-decision/

তিনি বলেন,” এতদিন দিদির অনুপ্রেরণায় সবকিছু কেনা বেচা করছিলেন। এখন দাদার অনুপ্রেরণায় যোগাভ্যাস করছেন। আমি বলছি ওয়েল কাম। খুব ভালো কথা। রাস্তায় আসো। কে কাকে বেচছে সে তো সবাই জানে। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার আগে ‘সব বেচে দে’। চলুন সব বিক্রি করুন। এরপর হবে সব কিনে নে। এই যে কেনা বেচার যে বিজনেস এটা পশ্চিমবাংলায় আর চলবে না।”

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে শামিল হয়েছেন। কেউ কাউকে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ। চলছে বাকযুদ্ধ।

দিনকয়েক আগেই ডায়মন্ডহারবারের সভা থেকে দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা মাফিয়া বলে আক্রমন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তাঁকেও আক্রমন করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি খোকাবাবু বলে সম্বোধন করেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে।  আবার পাল্টা দিলীপ ঘোষকে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় দিলীপ ঘোষকে দুধবাবু বলে সম্বোধন করেন। সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে জমে উঠেছে শাসক-বিরোধী কাজিয়া।

সম্পর্কিত পোস্ট