রাজস্থানে জয় কংগ্রেসের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে কলহের অবসান। টানা একমাস ধরে রাজস্থানে যে দড়ি টানাটানি লড়াই চলেছে আজ তার নিস্পত্তি ঘটল।

অবশেষে আস্থা ভোটে জয় গেহলোটের। এদিন ১২৫ জন বিধায়কের সমর্থন পেলেন তিনি। যা রাজস্থানের ১০১ ম্যাজিক ফিগারের তুলনায় অনেক বেশী। গত একমাস ধরে সরকার পড়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা ছিল তাতেই জল ঢেলে দিল কংগ্রেস।

এদিন বিধানসভায় প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে শক্তিশালীকে সীমান্তে পাঠানো হয়। আমিও বিধানসভায় বিরোধী সীমান্তে রয়েছি। সময়ে সব সত্য বেরিয়ে আসবে। আমি সর্বদা ঢাল, কবচ নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তাতেই কার্যত ফুলস্টপ দিয়ে দিল আজকের এই আস্থা ভোট। জানালেন শচীন পাইলট। তিনি আরও বলেন, আগে আমি সরকারের একজন ছিলাম। কিন্তু এখন আর নই। তবে আমি কোথায় বসব সেটা স্পিকার ঠিক করে দেবেন।

রাজস্থান বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ক্ষমতা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। সঙ্গে ছিলেন একমাস দল থেকে দূরে থাকা শচীন পাইলট এবং তাঁর ১৮ জন অনুগামী।

কংগ্রেসের এই ক্ষমতা প্রদর্শনের রাজনীতিকে ঘনীভূত করতে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার দলের পরিষদীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা গুলাব চন্দ্র কাটারিয়া।

তিনি আরও বলেন, নিজেদের সরকার থেকেও তাঁরা আস্থা ভোটের পথে হাঁটছে। কিন্তু বিজেপি এবং তাঁর অনুগামীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এরকম চলতে থাকলে সরকার বেশীদিন টিকবে বলে মনে হয় না।

এদিন বিধানসভা শুরুর আগে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট বলেন, আজ থেকে বিধানসভায় স্পেশাল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। কংগ্রেস বিধায়কদের ঐক্যতার মাধ্যমে রাজস্থানের জনগণের জয় নিশ্চিত। সত্যের জয় নিশ্চিত। সত্যমেব জয়তে।

জুলাই মাসে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারে ভাঙন ধরে। অশোক গেহলোট সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন শচীন পাইলট এবং ১৮ জন অনুগামীরা। টানা একমাস ধরে যে অস্থিরতা চলছিল অবশেষে বরফ গলল বৃহস্পতিবার।

এদিন শচীন সমেত বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে নিজ বাসভবনে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। এরপরেই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে এগিয়ে আসে কংগ্রেস।

আউটস্ট্যান্ডিং ও কমেন্ডেবেল সার্ভিসের জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন রাজ্যের ১০ পুলিশকর্মী

২০০ জন বিধায়কের রাজস্থান বিধানসভায় গেহলোট সরকারের পক্ষে রয়েছে ১২৫ জনের ভোট। যদিও এখানেও পরিস্থিতি জটিল।

বিধানসভার ভিতরে যাতে ৬ জন বিএসপি বিধায়ক গেহলোট সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেন সেই বিষয়ে কার্যত হুইপ জারি করেছেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী। গেহলোটের বিরুদ্ধে ভোট না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হুঁশিয়ারি বেহেনজির।

এই মুহুর্তে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭২ জন। তিনজন আরএলডি সমর্থকের ভোট তাঁদের ঝুলিতে যাবে। তাই আস্থা ভোটে কংগ্রেসকে টক্কর দিতে না পারলেও বিধানসভার আলোচনায় হাত শিবিরকে মাত দিতে চাইছে তারা।

করোনা মোকাবিলায় রাজস্থান সরকারের গাফিলতি তুলে ধরবে তারা। এমনটাই বিজেপি সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত পোস্ট