‘মেগা কামব্যাক’ , অভিষেকের হাত ধরে ভুল শুধরে ঘাসফুলে সামিল রাজীব
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক : দীর্ঘ কয়েক মাস পর রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার মাটি থেকে তার নতুন করে রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের পরিচয় ঘটল।এবার নয়ারুপে রাজীবের বিজেপি বধের কৌশলের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
একদিকে ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচন। অন্যদিকে কালীপুজো মিটলেই পশ্চিমবঙ্গের পুরভোটের দামামা বাজতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তার আগেই তড়িঘড়ি ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজীবকে দলে ফেরানোর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
বরাবরই মমতা ঘনিষ্ঠ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রথম সারিতে। নির্বাচনের পর প্রাকমুহূর্তে দুর্জনের কুবুদ্ধিতেই মতিভ্রম ঘটে তাঁর। দলের ওপর অভিমান করে চলে যান বিজেপিতে। তবে সেসব আজ অতীত। ভুলত্রুটি ভুলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের কাছে টেনে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে আসেন সেদিন, বিধানসভার ভেতর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ছবি বুকে জড়িয়ে নিয়ে চোখের জল ফেলেছিলেন তিনি। তার সাক্ষী ছিল তামাম সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে গোটা দেশের মানুষ।
২৯ নভেম্বর ভোট অর্পিতার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে, তৃণমূলের বাজি লিয়েন্ডার পেজ
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেছিলেন তিনি তার পার্টি অফিসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা আজীবন রাখবেন। কারণ মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর মায়ের মত। দীর্ঘ নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময় জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কটুক্তি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে শোনা যায়নি।
বিজেপির প্রতীকে নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল তাঁকে নিয়ে। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার যুবনেতারাও আইকন রাজীব কে হারিয়ে দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। তারাও কায়মনে প্রার্থনা করছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যয়ের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ফের তৃণমূলের মূল স্রোতে ফিরে আসুক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে কাজে লাগাতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্বরা। বরং অতিরিক্তই শুভেন্দুর উপর নির্ভরশীলতা তাদের বিপদ ডেকে আনে। দিনে দিনে শুভেন্দু অধিকারীর নির্ভরশীলতা এতটাই বেড়ে যায় যে দিলীপ ঘোষের মত দুঁদে রাজনৈতিক নেতাকে কোণঠাসা হতে হয়।
ফলাফল প্রকাশের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে আদৌ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে থাকবেন কিনা। ভুল বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি রাজীবকে ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি কোনো কায়দাতেই বাজিমাত করতে পারেননি।
তৃণমূলে জল্পনা বাড়তে শুরু করে। কর্মী সমর্থকরা রাজীবের ঘর ওয়াপসির সিদ্ধান্তে নতুন করে উজ্জীবিত হতে শুরু করে। অবশেষে দীপাবলীর আগেই রাজীবের ঘরে ফেরাতে তুমুল উচ্ছাসে ফেটে পড়েন তারা। রাজীবের হাত ধরে পুনরায় নিচুতলার থেকে সংগঠনের কাজ শুরু করতে চলেছে দল।