ত্রিপুরার মাটি থেকে নতুন করে রাজনৈতিক অভ্যুত্থান রাজীবের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরার মাটি থেকে নতুন করে রাজনৈতিক অভ্যুত্থান হতে চলেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee)। এই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে টানা দশ বছর মন্ত্রীত্ব সামলেছেন। প্রশংসা কুড়িয়েছেন সততার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
যখন দলে ছিলেন দল বিরোধী কোনো মন্তব্য করেননি তারপর দল ছেড়ে চলে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সম্পর্কে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া তার মুখ দিয়ে একেবারের জন্য উঠে আসেনি।
কিন্তু বিজেপিতে যখন গেলেন তখন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মত নেতার বাড়বাড়ন্তে বিজেপির ক্ষতি হয়েছে । সে কথা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের সময় বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বকে বারবার জানানোর পরেও লাভ কিছু হয়নি। এরপরে বাংলায় বিজেপির ফলাফল চাক্ষুস করেছেন সকলেই।
বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ, যোগীর গোরক্ষপুরে সভা প্রিয়াঙ্কার
গোয়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হাওয়া তুলে দিয়েছেন তা ক্রমশ রাজনৈতিকভাবে পারদ চড়াচ্ছে। উল্টোদিকে ত্রিপুরার মতো রাজনৈতিক রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে হাওয়া তৈরি করেছেন তার ফলাফল পুর নির্বাচনে অনেকটাই পড়বে। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরে আসতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরার মাটিতে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চান অভিষেক।
তাকে ত্রিপুরা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে ২০২৩ এর নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে চান তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কয়েক মাস ধরেই জল্পনা চলছিল তিনি কি দলে ফিরবেন ? সব প্রশ্নের অবসান ঘটেছে। এরমধ্যে ত্রিপুরা ঘুরে এসেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সবটাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতিতেই। তাই বাংলার রাজনীতিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক বিচক্ষণতার নতুন করে পরিচয় করার মতো কিছু নেই।
তাঁর দক্ষতা নিয়ে এবং সাংগঠনিক বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দল অবগত। তাই তাঁর দক্ষতাকে কাজে লাগানোর জন্য ত্রিপুরার মাটিকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সে ক্ষেত্রে রাজীবের মত সৈনিককে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপুরায় গেরুয়া উৎখাতের ডাক দিয়েছেন।