রাজীবকে দলে পেয়ে নতুন অক্সিজেন বিজেপিতে, তরুণ নেতার সুরক্ষায় ‘Z’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দলবদলের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকেই সেই নিরাপত্তা বহাল করা হবে জানা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে।
তবে রাজ্য সরকারের তরফে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা এখনও পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মঙ্গলবার সভা করছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দিয়ে এটাই তার প্রথম সভা হবে বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
রবিবার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে শাসকদলকে তীব্র নিশানা করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রাক্তন বনমন্ত্রীর সেই নিশানার ভাষা ছিল অত্যন্ত সংযত এবং শালীনতাপূর্ণ। সেই আক্রমণ কোথাও ব্যক্তিকেন্দ্রিক ছিল না। গঠনমূলক সমালোচনাকেই বরাবর প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। অন্যথা হয়নি এদিনও।
দীর্ঘ বেশ কয়েক মাস ধরে বেসুরো থাকার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তরুণ নেতাকে দলে পেয়ে আগের থেকে অনেক বেশী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিজেপির যুব সদস্যরা।
পুরনো দলে থাকাকালীনও রাজীব বরাবর যুব সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দিয়েছেন তাদের জন্য ভাবনা চিন্তা করেছেন। ম্যানেজমেন্ট পাস করা রাজীবের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বিজেপির কাছে নতুন অক্সিজেনের মত। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে হাতের তালুতে ধরে রেখেছিলেন হাওড়া জেলাকে। কোনভাবেই সেখানে দাঁত ফোটাতে সক্ষম হয়নি বিজেপি।
সেই রাজীবই এবার দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে। রাজীবের সঙ্গে হাওড়া জেলার একঝাঁক নেতৃত্ব যোগদান করেছে গেরুয়া শিবিরে। শুধু তাই নয় নদীয়া এবং সুদূর ফালাকাটা থেকেও বহু মানুষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে রাজীবের পথকেই বেছে নিয়েছেন।
ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, “নির্বাচনে বিজেপিকে খালি হাতে ফেরাবে উত্তরের মানুষ”-উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দলবদলের পর। অন্তত তেমনটাই চিঠি লিখে জানিয়ে ছিলেন তিনি। তারপরেই তাঁকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে।
অন্যদিকে রাজীবের গুরুত্ব বিজেপির কাছে যে কোনো অংশে কম নয় সেটা একের পর এক সিদ্ধান্তেই ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড় কোন দায়িত্ব পেতে পারেন। সেইসঙ্গে বিজেপি রাজীবের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে কোন অংশেই পিছপা হবে না।
অমিত শাহের হাত ধরে রাজীবের বিজেপিতে যোগদানের কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় বাতিল হয় সফর। তৎক্ষণাৎ বিশেষ বিমানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লি। অমিত শাহের বাসভবনে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান রাজীব।
রাজনৈতিক মহলের মতে এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে বিজেপির কাছে রাজীবের গুরুত্ব কতখানি। একই সঙ্গে তাদের মত ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বড় কোন মন্ত্রিত্ব পেতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। হয়ত এই ছোট ছোট বিষয়গুলি তারই ইঙ্গিত।
এখন প্রশ্ন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া বাহিনীর কর্মীদের সচেষ্ট করতে এবং আমজনতার বিশ্বাস-ভরসা ফিরিয়ে আনতে নতুন কি টোটকা আনবেন তরুণ হেভিওয়েট এই নেতা? উত্তর কিছুটা হলেও মিলবে আগামীকাল বারুইপুরের সভায়।