শুভেন্দুর খাসতালুকে রাজীবের পোস্টার, সৌজন্যে ‘আমরা দাদার সাথী’

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এতদিন ছিল ‘আমরা দাদার অনুগামী’। রাজ্য রাজনীতির প্রবাহমান ধারায় এই অনুগামী কারা, আর কেই বা দাদা সেটা পশ্চিমবঙ্গবাসীর ঠোটস্থ হয়ে গিয়েছে।

রাজ্য জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার অবসান বোধহয় এই সপ্তাহেই মিটতে চলেছে। তবে শুভেন্দুর পর শীলভদ্র দত্ত, সুনীল মন্ডল, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জগদীশ বর্মা বসুনিয়া সহ পাহাড়-সমতল মিলিয়ে একের পর এক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা-কর্মী মুখ খুলেছেন দলেরই বিরুদ্ধে।

গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুভেন্দুর সমর্থনে পোস্টারে এতদিন মজে ছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল। মেদিনীপুরের মাটিতে শহরের রিং রোড থেকে অলিগলিতে শুভেন্দুর পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল মেদিনীপুর।  সৌজন্য ছিল, ‘আমার দাদার অনুগামী’। পোস্টার পড়তে শুরু করেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনেও।

শুভেন্দুর খাসতালুকে এবার পোস্টার পড়ল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে। তবে সৌজন্যে ‘আমরা দাদার সাথী’।যা নিয়ে রীতিমত সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল।

বুধবার সকালে শহরের কেরানিতলা, এলআইসি সহ একাধিক জ্যায়গায় চোখে পড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোর্ডিং। “কাজের মানুষ, কাছের মানুষ” দুটি লাইনই শুধু লেখা রয়েছে হোর্ডিংয়ে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/2021-assembly-election-cm-mamata-banerjee-concern-about-darjeeling/

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক ধরেই প্রকাশ্যে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বনমন্ত্রী  রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ক্ষোভ প্রশমনে বৈঠকেও বসতে দেখা গিয়েছে ভোট কুশলী পিকে, তৃণমূল মহাসচিব। এরপর এই হোর্ডিং রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলেছে শাষক শিবিরকে।

বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এই বৈঠকে শুধুমাত্র আগামীদিনে দলের কী রণনীতি হবে সেই নিয়ে বৈঠক হয়। আগামীদিনে আবারও আলোচনা হবে। আবার আমাকে ডাকা হলে আবার আসব।”

তিনি আরও বলেন, “আলোচনা তো আলোচনাই। এতে আবার সন্তুষ্ট-অসন্তুষ্টর কী আছে!” একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁকে যেন গুলিয়ে না ফেলা হয়। কারণ তাঁরা দু’জন আলাদা মানুষ।

তবে সেদিন শুভেন্দু প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।  উঠতেই রাজীব বলেন, “দয়া করে আমার সঙ্গে কাউকে জড়াবেন না। শুভেন্দুবাবুর ব্যাপারটাও ব্যক্তিগত। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারটাও ব্যক্তিগত। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই দলের মধ্যে কারও যদি ক্ষোভ থাকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আলোচনার মধ্যেই তো মিটবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

সম্পর্কিত পোস্ট