ত্রিপুরায় BJP-র ধ্বস কেউ রুখতে পারবে না, সরকার গড়বে তৃণমূল; হুঁঙ্কার রাজীবের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেও বিজেপির ধ্বস ঠেকাতে পারবে না। যেদিন থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে ত্রিপুরা তাঁর এখন মূল টার্গেট, যেদিন থেকে ত্রিপুরায় সংগঠনের কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রকল্প সম্পর্কে বোঝানোর কাজ শুরু করা হয়েছে ঠিক তখনই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব পদত্যাগ করে বুঝিয়ে দিলেন ত্রিপুরার মাটিতে বিজেপির ধ্বস কেউ আটকাতে পারবেনা। শনিবার এমনই চাঁচাছোলা আক্রমন শানালেন ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বক্তব্যের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি জনসমর্থন হারিয়েছে। ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে।বিপ্লব দেবের সরকার ব্যভিচারের সরকার। মিথ্যাচারের এবং ভ্রষ্টাচারের সরকার।মানুষকে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই প্রতিশ্রুতি পালনে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। চাকরি থেকে শিল্প কোন কিছুই হয়নি।সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিপ্লব দেব কোনটাই করতে পারেনি।
স্পষ্টভাষায় তিনি বলেন, বিপ্লব দেবের আমলে ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। মানুষের স্বাধীনতা নেই এখানে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা অবিরাম চলছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার আমজনতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি এবার ক্ষমতাচ্যুত হবে।
দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত ! ইস্তফা দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব
এদিন বিজেপিকে একহাত নিয়ে রাজীব বলেন, ত্রিপুরার আমজনতা বিকল্প হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসকেই বেছে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি চাইছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে গেরুয়া শিবিরের রক্তক্ষরণ আটকাতে। কিন্তু সেটা কোনভাবেই আর সম্ভব নয়। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আত্মবিশ্বাসী রাজীব দৃপ্ত কন্ঠে বলেন, ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এখানে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিজেপি যদি পুরো মন্ত্রিসভাও পরিবর্তন করে ফেলে তাতেও এই ধ্বস কোনভাবেই ঠেকানো সম্ভব নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই ত্রিপুরার উন্নয়ন ঘটবে।