বিতর্কের মাঝেই বিরাজমান ‘রাজীব’

সহেলী চক্রবর্তী

বর্তমান শাসক দলে যে কজন হেভিওয়েট মন্ত্রী রয়েছেন এছাড়াও যাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক তাদের মধ্যে ব্যতিক্রমী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি বয়সে প্রবীণ না হলেও জনপ্রিয়তায় যেকোনো প্রবীণকে বলে বলে গোল দিতে পারেন।

কথায় বলে চুল যতক্ষণ না পাকে ততক্ষণ রাজনীতিতে তার অভিজ্ঞতা হয়না। একথাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির মারপ্যাঁচে এমনভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন যাতে তিনি জনস্বার্থে কল্যাণমুখী কোন কাজ করতে পারেন। ডোমজুড় বিধানসভার বিধায়ক তিনি।

তবে তার জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র যে ডোমজুড়েই রয়েছে তা নয়। তামাম পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। তার একটাই কারণ। তিনি টিভিতে মুখ দেখান কম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।

বিরোধীদের মধ্যে যখন কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলছে শাসক দলের নেতাদের নিয়ে, সেই তালিকাতেও কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম একবারের জন্যেও কোনদিন রাজ্যের মানুষ শোনেনি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-trinamool-submitted-a-memorandum-to-the-president-demanding-the-removal-of-the-governor/

একবার দিলীপ ঘোষ তাঁর নামে মন্তব্য করেছিলেন বটে। কিন্তু পরে তিনি নিজের মন্তব্য শুধরে নেন। এই ঘটনাটি রাজনীতির ইতিহাসে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বেশ অবাক করে।

কারণ আজ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ শুধু নন বিরোধীরা যার যার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলুন না কেনো কখনোই সেই আঙুল তোলার পর সেটাকে নিয়ে শোধরানোর চেষ্টা করেনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয়েছিল একমাত্র কারন তাঁর রাজনৈতিক সততা তাঁকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।

ঝাঁ-চকচকে দপ্তর। পাশে বিশাল জানলা। যা দিয়ে গোটা কলকাতার না হলেও বেশ কিছুটা অংশ নজরে আসে। ঠান্ডা ঘর। আরামদায়ক চেয়ার। বিশাল বড় টেবিল। প্রচুর মানুষের যাতায়াত। অবলীলায় একের পর এক মানুষের সঙ্গে কথা বলে চলেছেন। তাতে নেই বিরক্তি।

নেই অহংকার। নেই গাম্ভীর্য। তিনি আম জনতার সঙ্গে যখন মিশছেন তখন তাদের মধ্যে নিজেকে নিয়ে আলাদা করে কোনো বাছবিচার করছেন না। সেই ছবিই জনভিত্তি গড়ে দিয়েছে রাজীবের।

উচ্চশিক্ষিত রাজীব একটি প্রাইভেট সংস্থায় উচ্চ পদে চাকরি করছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার আলাপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনভিত্তি এবং  তাঁর মতাদর্শ, মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে হার না মানা মনোভাব- সেটাই রাজীবকে আকৃষ্ট করেছিল সবথেকে বেশি।

তিনি ভেবেছিলেন মোটা অংকের মাইনে পকেটে পুরে না নিয়ে গিয়ে যদি মানুষের জন্য কিছু করা যায় তাহলে তাতে ক্ষতি কোথায়! মাথায় ভাবনাটা আসা মাত্রই লাখ টাকার চাকরি ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চলে আসেন রাজনীতির ময়দানে।

বিশাল এই কর্মযজ্ঞে অচিরেই তিনি হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন। অল্প বয়সেই দফতর সামলানোর দায়িত্ব পান। তাঁর ব্যবহার, সংগঠন করার দক্ষতা এবং মানুষের পাশে থাকার যে অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন তা শিরোধার্য করে এগিয়ে যাওয়াই তাঁকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে ‘দাদা’য় পরিণত করেছে।

ডোমজুড় বাসীরা প্রত্যেকে বলেন রাজীব আমাদের ঘরের ছেলে। আবার কোন কলেজ পাশ করা নতুন প্রজন্ম খুব সাধারণ ভাবেই তাঁকে দাদা বলে সম্বোধন করে। তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন থাকলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তারা কোনো অভিযোগ তুলতে পারে না।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/tmc-leader-shootout-in-howrah/

যে যে দলই করুক না কেন কোন সমস্যা নিয়ে তারা যদি মন্ত্রীর কাছে উপস্থিত হন বা এলাকার বিধায়ক এর কাছে উপস্থিত হন সেই সমস্যা নিরসন করতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জান লাগিয়ে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম তাঁকে সামলাতে দেন সেচদফতর। পরে বনদপ্তর। দুটোই কিন্তু ঘুঘুর বাসা। বলা যেতে পারে দুর্নীতির আখড়া।

সেচ দপ্তরের দায়িত্বে যখন প্রথম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন তখন তার  প্রথম কাজ ছিল দুর্নীতি বন্ধ। ভেঙে দিয়েছিলেন ঘুঘুর বাসা। ছদ্মবেশে রাস্তায় নেমে হাতেনাতে ধরে ছিলেন বালি চোরদের। বনদপ্তরের দায়িত্ব পাওয়ার পর সবথেকে বড় চক্র বনজ সম্পদ চুরি, সেইখানে থাবা বসান। বন্ধ হয়ে যায় চুরির রাস্তা।

সেইসঙ্গে বার্তা যায় এই ধরনের কাজ যাঁরা করবেন ধরা যদি পড়েন ছেড়ে কথা বলা হবে না । স্বাভাবিকভাবেই রাজীবের এই মানসিকতায় রাজনৈতিক ময়দানে প্রচুর শত্রু তৈরি হয়ে যায়। দুর্নীতির মাধ্যমে একটা বড় অংশের টাকার উৎস তিনি আটকে দেন।

বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সতীর্থ অরুপ রায়ের বিরুদ্ধে। তারপর অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শিলমোহর দিয়েই দায়িত্ব থেকে অরুপ রায়কে সরিয়ে দেন। ২০১৯ সালে যখন বিপর্যয় ঘটে তখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মতো নেতৃত্বদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ততটা গুরুত্ব দেননি।

বিপর্যয়ের পর উপনির্বাচনে ফের একবার দেখে নেওয়ার লড়াই। তখনই গুরুদায়িত্ব পরে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। মাটি কামড়ে পড়ে থাকে দিনের-পর-দিন লড়াই চালিয়ে যান তারা।

রাজীব উত্তরের নেতাদের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দেন, তাদের রাজনৈতিক চাল চলন বৈভব, মানুষের সঙ্গে না মেশার অভিপ্রায়, কাটমানি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনটাই তিনি মানবেন না। দলে থেকে দলের বিরুদ্ধাচারণ করলে তাকে রেয়াত তিনি করবেন না । আর যদি কেউ দুর্নীতি করেন তাহলে ঘাড় ধরে তাকে দল থেকে বের করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ।

তিনটি আসনে উপনির্বাচনের মধ্যে দুটি আসনের দায়িত্ব ছিল রাজীবের। বিপুল ভোটে সেই আসন দুটি লড়াই করে ছিনিয়ে আনেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি।

কিন্তু এরপরও সাংগঠনিক দিক থেকে কোনদিনই তাঁকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং এমন কিছু মানুষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা সঠিকভাবে সংগঠনটাকে ধরে রাখতে পারলেন না। দিকে দিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আলাদা আলাদা গোষ্ঠী জেলায় জেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে তৈরি করেছে অস্বচ্ছতা।

মানুষের উপকার কতদূর হচ্ছে জানা নেই। কোনো মানুষ তার অধিকার চাইতে গেলে উল্টা তাদের থেকে টাকা নেওয়ার পর্যন্ত অভিযোগ উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত বিষয়ে অবগত যে নন তা কিন্তু নয়। জানা সত্বেও তিনি সেগুলি রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন। দক্ষ সংগঠকের হাতে যদি দল রাখতেন ২০২১ এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তাঁকে এই রক্তক্ষরণ দেখতে হতো না।

আগেও বহুবার দলেরই অন্দরে দক্ষ সংগঠক হিসেবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নাম তুলেছিলেন দলের একাংশ। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনদিনই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মত সংগঠককে কাজে লাগাতে পারেননি।যদি তিনি পারতেন, যদি তিনি রাজীবকে দায়িত্ব দিতেন, নিঃসন্দেহে সংগঠন মজবুত হতো।

বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যে বাক্ যুদ্ধ শুরু হয়েছে বর্ষীয়ান নেতা নেতৃত্বদের মধ্যে, যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরকে আক্রমণ করছেন, কটুক্তি করছেন তা চূড়ান্ত অশোভন। এই বিষয়ে সংযত হওয়ার প্রয়োজন বলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় বলেছিলেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bolpure-road-show-cm-mamata-banerjee/

তিনি রাজনীতি করেন সুশীল সমাজকে টার্গেট করে। বলাই বাহুল্য সেই সুশীল সমাজের কাছে তিনি ‘কাছের মানুষ কাজের মানুষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়’। নেতা থেকে জননেতা হয়ে ওঠা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে আমজনতা ভগবান। তারাই ঠিক করে কে থাকবে ক্ষমতায় আর কেইবা ক্ষমতাচ্যুত হবে। কার কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা হবে।

তাই সেই ভগবানকে তুষ্ট করে সেই ভগবানের পুজো করলে মঙ্গল হবে এটা খুব স্বাভাবিক। তার কাছে রাজনীতি মানে রাজার নীতি। যেখানে ‘আমি’ নেই, সকলের জন্য সমান নীতি। যে নীতিতে কোন স্বার্থ নেই। এভাবে চলতে পারেন বলেই বিরল এক ব্যতিক্রমী চরিত্রের মানুষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

একটি অরাজনৈতিক সভা থেকে নিজের মনের কথা বলেছেন আমজনতাকে। সোচ্চার হয়েছিলেন স্তাবকতার রাজনীতির বিরুদ্ধে। চক্ষুশূলে পরিণত হয়ে গিয়েছেন তখনই। সেটা তিনি জানতেন।

তার আগেই অকপটে স্বীকার করে নিয়েছিলেন, আমি স্তাবকতার রাজনীতি করতে পারিনা তাই জন্যই কম নম্বর পাই। যখনই ভালো কাজ করতে গিয়েছি ,তখনই কোন অদৃশ্য শক্তি আমাকে পিছন থেকে টেনে ধরেছে। ঠেলে পেছনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন করা হয়েছে, কি তার কারণ তা জানা নেই। রাজীবের কথা থেকে স্পষ্ট তার ভেতর পুঞ্জিভূত হয়েছে অভিমান ।

যারা দলকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসেন তাদের মধ্যে অন্যতম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে দলের ওঠাপড়ার সঙ্গী তিনি। তাই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মতো নেতাদের গুরুত্ব থাকবে এটাই কাম্য । কিন্তু বাস্তবে সেটা হচ্ছে না ।

এমন কিছু নেতৃত্বকে সামনে এনে রাখা হয়েছে যাদের কুরুচিকর মন্তব্য, তাদের রাজনৈতিক চালচলন মানুষের অসহনীয় হয়ে উঠেছে ক্রমশ। জনভিত্তি হারাতে বসেছে দল। দিকে দিকে মুখ খুলছেন বিধায়করা। কেন একটা দল চালাতে গেলে ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট কে নিয়োগ করতে হবে? একটা দল কতটা খাদের কিনারায় পৌঁছতে পারলে তবে দলের সুপ্রিমো এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেন।

তাছাড়া নির্বাচনের প্রাকমুহুর্তে দাঁড়িয়ে যে তোলপাড় শুরু হয়েছে দলের উপরতলা থেকে নিচ তলায় তা রুখবার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকলেও তিনি নীরব, নিস্তব্ধ। উল্টে যারা দলকে ভালোবাসেন , যারা ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন , যারা সাংগঠনিক নেতৃত্বদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদেরকেই গানপয়েন্টে রাখা হচ্ছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/soumendu-adhikari-has-been-removed-from-the-post-of-municipal-administrator-of-kanthi-municipality/

ওয়াকিবহল মহলের মন্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন বুঝতে চাইছেন না বা পারছেন না যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতৃত্বরা দল ত্যাগ করলে কোন নতুন প্রজন্ম আর যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হোক না কেন তৃণমূলে আসবেন না।

একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে তরুণ প্রজন্ম যারা রাজনীতির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন তারা বেশকিছু আইকন কে সামনে রেখে রাজনীতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। সেই তালিকায় প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তারপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতৃত্বরা।

যে দলের সংগঠন মজবুত নয় বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার রসদ কোথায় পাবে তারা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক মহল। ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত যারা তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্ব ছিলেন তারা কি করলেন? এই প্রশ্ন কোনো নেতা কর্মী যেই করুক না কেন সেটা কোনো অপরাধ নয়।

এখনো সময় থাকতে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত সাংগঠনিক দিক থেকে রদবদল করা। উচিত পুরনো নেতৃত্বদের বদলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত নেতৃত্বকে সামনের সারিতে নিয়ে আসা। বর্তমান আধুনিক সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে সমস্ত নেতৃত্বরা চলতে পারবেন তাদের গুরুত্ব দেওয়া।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছেন, অবিলম্বে রদবদল করুন সাংগঠনিকস্তরে। স্তাবকতার রাজনীতি ছেড়ে বেরিয়ে এসে কে বা  কারা, যারা প্রকৃত দলকে ভালোবাসে তাদের চিনুন। যারা সমালোচনা করে তারাই আসলে দলের ভালো চায় এটা বুঝুন।

তাদের আর্জি আজ যদি আপনি এই আপ্তবাক্য গুলি না বুঝতে পারেন ২০২১ এর ফলাফল আপনাকে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেবে। সেদিন আপনি চাইলেও বেশকিছু দক্ষ সংগঠক, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অধিকারী, স্পষ্টভাষী এক কথার মানুষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মতো নেতৃত্বদের আপনার পাশে পাবেন না।

সম্পর্কিত পোস্ট