রাজ্যসভা টিভির ছবি আর ডেপুটি চেয়ারম্যানের বয়ানে অসঙ্গতি, প্রধানমন্ত্রীকে তোপ অভিষেকের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ যেনতেন প্রকারেণ রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাস করানোর জন্য নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি সরকার। এই অভিযোগ শুরু থেকেই করেছিল বিরোধীরা। এবার তাদের অভিযোগ জোর পেল রাজ্যসভা টিভি ফুটেজ সামনে আসায়। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে।এই নিয়েই সরব হলেন তৃণমূল যুব সভাপতি তথা ডায়মণ্ড হারবাবের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোশ্যাল সাইট ট্যুইটারে তিনি বলেন, সংসদে জনপ্রতিনিধিদের যে ভাবে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সেটা সকলেই দেখছে ও জানছে। কিন্তু বিজেপি জানে না প্রতিবাদীরা জেগে উঠছে। এবং এই মুহূর্তে প্রতিবাদের বন্যা বয়ে যাচ্ছে দেশ জুড়ে। এখন কী ভাবে মোদীজি এই বিপুল প্রতিবাদকে থামাবেন, সটাই ভাবা উচিত।

এ কথা ঠিক যে, দেশ জুড়ে কৃষিবিল নিয়ে দারুণ আকারে প্রতিবাদ চলছে। এই ইস্যুতে শিরোমণি আকালি দল এমডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। উত্তর ভারত জুড়ে স্বরঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন কৃষকেরা। এই সময়ে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান যদি প্রকৃত সত্য গোপন করতে চান, তবে তা তাঁর পক্ষে নিশ্চয়ই কঠিন হবে, অশোভনও হবে এমনই ধারণা বিরোধীদের।

উল্লেখ্য, রবিবার দেশের এক প্রথম সারির টিভি চ্যানেলের সংবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে রাজ্যসভা টিভির ফুটেজই তুলে ধরা হয়েছে।

রাজ্যসভা টিভির ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গত ২০ তারিখ দুপুর ১.‌০ মিনিট নাগাদ বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ কক্ষকে বলছেন যে, ‘বিরোধীরা বলছে আজ আর সময় বাড়ানো উচিত হবে না, মন্ত্রী আগামীকাল জবাব দিতে পারেন।’

কিন্তু ধ্বনি ভোটে বিল পাস করানোর পক্ষে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিং এবং সরকারের দাবি ছিল, যখন ভোট ভাগের দাবি করেন বিরোধীরা, তখন তাঁরা কেউ নিজেদের আসনে ছিলেন না।

বিরোধীদের পাল্টা দাবি, ডেপুটি চেয়ারম্যান কারও অনুমতি না নিয়েই নির্ধারিত সময়ের পরে দুপুর একটার পরও অধিবেশনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেন। তার প্রতিবাদ জানাতেই বিরোধী সাংসদরা ওয়েলে নেমে গিয়েছিলেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/tmc-vs-bjp-the-change-of-day-of-the-review-meeting-is-not-likely-to-be-a-big-join/

ডিএমকের গত ২০ বছরের সাংসদ ত্রিচি শিবা অভিযোগ করেন, একটা নাগাদ যখন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার জবাব দিচ্ছিলেন, তখন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী অধিবেশনের সময় বাড়ানোর কথা বলেন।

তখন বিরোধীদের অনুমতি নেওয়া দূর, তাদের দিকে একবার না তাকিয়ে শুধু ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়েই সময় বাড়িয়ে দেন ডেপুটি চেয়ারম্যান। যা রাজ্যসভার ৩৭ নম্বর নিয়মের লঙ্ঘন।

পরে অবশ্য আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সাফাইয়ে বলেন, নিয়ম মেনেই বিল পাসের জন্য অধিবেশনের সময় বাড়াতে চেয়েছিলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী।

এদিন এই দ্বিচারিতারই বিরোধিতা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই যুব নেতা।একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ও সর্ব ভারতীয় টিভি চ্যানেলের এ সংক্রান্ত খবরই বলে দিচ্ছে, সেদিনের রাজ্যসভার চেহারা নিয়ে রাজ্যসভা টিভি যে ফুটেজ দিচ্ছে, তার সঙ্গে ডেপুটি চেয়ারম্যানের সাক্ষ্য মিলছে না।

সম্পর্কিত পোস্ট