সংসদে মান্ডি তৈরি হবে, সেখান থেকেই বিক্রি হবে আনাজঃ রাকেশ টিকায়িত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়িত। কলকাতার পাশাপাশি নন্দীগ্রামে সভা করেন কৃষক নেতৃত্ব।
বিজেপিকে একটিও ভোট না দেওয়ার বার্তাই দেন কৃষক নেতারা। নির্বাচনের মুখে নন্দীগ্রামে কৃষক সভা কেন? তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর আলোচনা।
নন্দীগ্রামের সভা থেকে কৃষক নেতা জানান, সংসদে নতুন মান্ডি খোলা হবে। এবার ট্রাক্টর মিছিল করে দিল্লির মধ্যে প্রবেশ করবেন তাঁরা। ২৫ লক্ষ কৃষকদের নিয়ে সংসদে আনাজ বিক্রি করবেন কৃষকরা।
এর আগে ১০ তারিখ কলকাতার রামলীলা ময়দানে কৃষকদের মহাসভা হয়। সেদিন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে উপস্থিত ছিল্বন হান্নান মোল্লা, যোগেন্দ্র যাদব, গুরনাম সিং টাডুনি, অতুল কুমার আনজান এবং অভিক সাহা সহ একাধিক কৃষক নেতৃত্ব।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী মেধা পাটেকর। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে যার অবদান গুরুত্বপূর্ণ। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যার উপস্থিতি বাম সরকারকে নড়িয়ে দিয়েছিল।
রাজ্যের মানুষের প্রতি একটাই বার্তা, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে একটি চিঠি রাজ্যের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। ২৯৪ টি কেন্দ্রের কৃষক নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে সেই চিঠি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কৃষকদের নেতৃত্বের মিছিল বিজেপির পালে হাওয়া দেবে। নন্দীগ্রাম ছাড়াও সিঙ্গুর, ভবানীপুর এবং আসানসোলে মহাসভা করবেন তাঁরা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কিছুদিন আগেই গুজরাটের নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল দেখে গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতৃত্ব দাবী করেন কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের সমর্থন করেছেন গুজরাতের কৃষকরা।
সেই কারণেই ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের সমর্থনে প্রচারে নেমে কৃষকদের বাড়িতে মধাহ্নভোজন সারেন বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্যে কৃষকদের নতুন আইনে সমর্থন রয়েছে বলে দাবী করেন অনেকেই। পাল্টা অভিক সাহা জানিয়েছেন, বাড়িতে অতিথি এলে তাঁদের আতিথেয়তা করেন কৃষকরা। কিন্তু এবার কৃষকরা বুঝে গেছেন। তাঁরা একজোট হয়ে বিজেপিকে কড়া জবাব দেবেন