ল্যাংচা সহযোগে পলিটিকাল ট্যুরিজম, গণহত্যা তো নিমিত্ত মাত্র!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রসনা তৃপ্তিতে মন দাও বৎস, বাকি সব পরে! এই কথা মহাপুরুষরা সেই কবে বলে গিয়েছেন। তাই শক্তিগড়ের সামনে দিয়ে যাবেন আর ল্যাংচার স্বাদ গ্রহণ করবেন না তা আবার হয় নাকি! তাই যেটা করার সেটাই করেছেন। বাস থামিয়ে সকলে মিলে ল্যাংচা-মিহিদানা খেয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দুষ্টু, ওরা সবেতে ছিদ্র খুঁজে বেড়ায়। ওতে পাত্তা দিতে আছে নাকি!
বিজেপির বিধায়করা বুধবার চারটি বিলাসবহুল বাসে চড়ে বগটুই গ্রামের উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে রওনা হন। পথেই পড়েছিল শক্তিগড়। খাদ্য রসিক বিধায়করা বাস থামিয়ে ল্যাংচা-মিহিদানা খেতে শুরু করে দেন। সেই নিয়েই খবর হয়েছে। কলকাতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি বিধায়কদের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বগটুইয়ে রাজনৈতিক পর্যটনে যাচ্ছে বিজেপি।
বিধানসভায় বিজেপির সচেতক মনোজ টিগ্গা তৃণমূলের এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। এমনিতে রাস্তায় বেরিয়ে খাওয়া-দাওয়া করায় কোনও ভুল নেই। কিন্তু আপনি কী উদ্দেশ্যে কোথায় যাচ্ছেন সেটা মাথায় রাখাটা জরুরি। একদিকে বলছেন গণহত্যার শিকার মানুষদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছেন, অপরদিকে পিকনিকের মেজাজে ল্যাংচা-মিহিদানা খাচ্ছেন, সমালোচনা তো হবেই।
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাইকে করে বগটুইয়ে সেলিম
আসলে খুন হওয়া উপ প্রধান ভাদু শেখ বা গণহত্যার শিকার মানুষগুলো সকলেই ধর্মে মুসলমান। হিন্দুত্ববাদী বিজেপির পক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক করা বেশ কঠিন। যদিও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এইরকম বড় ঘটনা একেবারে উপেক্ষা করাও সম্ভব নয়। বুধবার বিজেপি বিধায়কদের আচরণে সেই দোলাচল স্পষ্ট।
শূন্য হয়ে যাওয়া সিপিএম যেখানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিতে পেরেছে, সেখানে বিজেপির আচরণ অনেকটাই যেন নিয়মতান্ত্রিক। না হলে ল্যাংচা ভক্ষণের মতো কাঁচা কাজ কী আর হয়! বোঝাই যাচ্ছে অসহায় মানুষগুলোর আর্তনাদ হৃদয় স্পর্শ করেনি, পুরোটাই কেবলমাত্র রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা।