Rampurhat Incident : এটা হাথরাস নয়, বিজেপি ল্যাংচা খেতে যাক, আমি কাল যাবঃ মুখ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রামপুরহাট কান্ড ( Rampurhat Incident ) নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চক্রান্ত তত্ত্বকে সামনে রেখে ওই ঘটনার জন্য বিরোধীদের দায়ী করেছেন তিনি। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস রামপুরহাট কাণ্ডে রাজনীতির রং না দেখে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে।
রামপুরহাটের ( Rampurhat Incident ) বগটুই গ্রামের নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। এর আঁচ পড়েছে সর্বভারতীয় স্তরেও। প্রথম থেকেই শাসক দল তথা রাজ্য সরকার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে ১১ জনকে নিশংস ভাবে হত্যা করার ঘটনার পিছনে চক্রান্ত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে।
বগটুইয়ের ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মঙ্গলবার সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আরো সুস্পষ্টভাবে ওই ঘটনায় চক্রান্তের দায় বিজেপি তথা বিরোধীদের ওপরই চাপিয়েছেন মমতা।
ল্যাংচা সহযোগে পলিটিকাল ট্যুরিজম, গণহত্যা তো নিমিত্ত মাত্র!
এদিন তিনি বলেন ‘‘
- আমরা সরকারে। আমরা কি চাই কোথাও কেউ বোমা মারুক,খুন করুক! বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে।
- আসলে অশান্তি করতে পারছে না, মানুষ খেতে পারছে না একথা বলতে পারছে না।
- বাচ্চারা মিড ডি মিল পাচ্ছে না, একথা বলতে পারছে না। তাই একটা দেশলাই জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
- দেশলাই জ্বালানো খুব সহজ তাই না! এই দেশলাই জ্বালাতে চক্রান্তকারীদের জুড়ি নেই।
- কিন্তু তারা বোঝে না অন্যের ঘরে দেশলাই জ্বালালে নিজের ঘরে এসেও পড়তে পারে।
- অনেক নষ্টামি, অনেক দুষ্টুমি দেখছি। কালকেও দেখেছেন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
- আর এটা নিয়ে যাতে কেউ বলতে না পারে, তাই হট করে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছে।
- চক্রান্তকারীরা মনে রাখবেন বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বাংলাকে ভেঙে দেওয়া অত সহজ নয়। ”
রামপুরহাট এর ঘটনা নিয়ে সরকার তৎপর এবং দোষীদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও এদিন আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেও বৃহস্পতিবার রামপুরহাট যাচ্ছেন। বিজেপি প্রতিনিধিদলের রামপুরহাট ( Rampurhat Incident ) যাওয়ার ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি।
Rampurhat Incident
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ ছাড়া পাবে না।খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সঙ্গেসঙ্গে ওসি, এডিপিও-কে সরিয়ে দিয়েছি। অন্তত পঞ্চাশ বার রামপুরহাটে ( Rampurhat Incident ) ফোন করেছি। আমরা সিট গঠন করেছি। ডিজি আছেন। ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রত মণ্ডলরা গিয়েছিলেন। আমিও কাল যাব। কিন্তু আজ কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে ওখানে যাচ্ছেন। এখন নাকি আসানসোল যাবে। সেখান থেকে যাবে। তাই আমি আজ না গিয়ে কাল যাব।”
হাথরাস কান্ডের স্মৃতি উসকে তিনি বলেন, “যাবে যাক, এটা বাংলা, উত্তর প্রদেশ নয়। হাথরসে আমিও প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম, ঢুকতে দেয়নি। আমরা সবাইকে অ্যালাউ করি। হাথরস, উন্নাও নিয়ে তো কিছু হয় না। এখানে তোমরা ঘটনা ঘটাবে, আর তারপর টিভি-তে বসে পড়বে। আমরা সবার বিচার করি। কাউকে ছাড়া হবে না।”
রাজ্যপালকেও নাম না করে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”এখানে আছেন এক লাটসাহেব। সারা দিন বলছে বাংলা খারাপ। শিলিগুড়ি, দার্জিলিং সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর নিন্দা করে যাচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। কে দেশলাই জ্বালিয়েছে সবাই জানে। গৃহদাহ শুরু হয়েছে, ঘর পুড়ছে তাই দিশেহারা তৃণমূল।